শেষ আপডেট: 20th October 2024 08:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের ডাকে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে কি নবান্নের বৈঠকে যোগ দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ এভাবে শর্ত মেনে বৈঠকে যোগ দিতে রাজি নন। একই মত চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী, তমোনাশ চৌধুরীদের।
এভাবে শর্ত দিয়ে বৈঠকে ডাকার ঘটনাকে 'অত্যন্ত অপমানজনক' বলে দাবি করে সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "এটা অত্যন্ত অপমানজনক শর্ত। তারপরে বৈঠকে গিয়ে শুনবে স্বাস্থ্য সচিবকে সরাতে পারছি না, মেডিক্যাল কাউন্সিল এখনই ভাঙতে পারছি না। তখন আন্দোলনকারীদের হাতে থাকবে পেন্সিল। আসলে রাজ্য সরকার রয়েছে নিজের পুরনো সিদ্ধান্তেই। সামনে উপ নির্বাচন। তাই এই নাটক করছে সরকার।"
চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরীও বলেন, "সরকারের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, আমরা ওদের পাশে থাকব।"
১০ দফা দাবিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সরকারের তরফে বারংবার অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানালেও নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। শুক্রবার সন্ধেয় রাজ্যকে ডেডলাইন দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, সোমবারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য ধর্মঘট পালন করা হবে।
এরপরই শনিবার দুপুরে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপচারিতার পর মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন লাগান। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান।
টেলিফোনেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠকের কথা। এও বলেন, 'সময়ে আসতে হবে। ১০ জনের বেশি যেন কেউ না যান।' একই সঙ্গে পরিষ্কারভাবে এও জানিয়ে দেন, ১০ দফা দাবির মধ্যে ২ নম্বর দাবিটি মানা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যর্থতার দায় স্বীকারের দাবি ছিল ২ নম্বর পয়েন্টে।
পরে রাতে মুখ্যসচিবের ই-মেলে শর্ত হিসেবে বলা হয়, বৈঠকে যোগ দিতে আসার আগে অনশন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীরা অফিসিয়ালি কিছু এখনও না জানালেও সূত্রের খবর, সিংহভাগই এভাবে শর্ত মেনে বৈঠকে যেতে রাজি নয়।
তাঁদের কথায়, "যে দাবিতে আমাদের আন্দোলন সেই দাবি না মানলে কীভাবে অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে যোগ দেব?" এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।