শেষ আপডেট: 19th October 2024 23:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৮ ঘণ্টার মিছিল দেখল কলকাতা তথা রাজ্য! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন নিহত চিকিৎসকের বাড়ির এলাকা থেকে শুরু হয় এই মিছিল। তা শেষ হল ধর্মতলায়। এই 'ন্যায়বিচার যাত্রা’য় প্রতিবাদ জুনিয়র ডাক্তাররা থেকে শুরু করে পা মিলিয়েছেন আমজনতাও। মিছিল শুরুর আগে জমায়েতে যোগ দিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা-মাও।
শনিবার দুপুরেই ধর্মতলার অনশন মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। সেখানে গিয়ে আলোচনার পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও বলিয়েছেন। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যখন এমন ছবি, ঠিক সে সময় সোদপুর থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেয় এই 'ন্যায়বিচার যাত্রা'।
সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য টানা মিছিল করা হয়। 'রিলে' পদ্ধতিতে মিছিল এগোয়। সোদপুর থেকে ধর্মতলা অবধি প্রায় ১৯ কিলোমিটার রাস্তা। এত বড় ব্যবধান হলেও মানুষের মধ্যে কোনও ক্লান্তি ছিল না। যে নৃশংস ঘটনা রাজ্যের বুকে ঘটেছে তার বিচার চেয়ে পথে হেঁটেছেন মানুষ। মিছিলে জুনিয়র ডাক্তাররাও যেমন ছিলেন, তাদের যোগ্যসঙ্গত দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিটি রোড ধরে মিছিল এগিয়ে তা ডানলপ, শ্যামবাজার, কলেজ স্কোয়ার, কলেজ স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে পৌঁছয় ধর্মতলার অনশন মঞ্চে। সেখানেই গত ৫ অক্টোবর থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবির সমর্থনে বৃহস্পতিবারই ‘গণস্বাক্ষর সংগ্রহ’ করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর ডাক দেওয়া হয় ‘ন্যায়বিচার যাত্রার’।
এদিকে সোমবারের মধ্যে যদি ১০ দফা দাবি পূরণ না হয় তাহলে মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু তার আগে শনিবারই জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডেকেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে যেতে বলা হয়েছে তাঁদের। যদিও মুখ্যসচিব পড়ে মেল পাঠিয়ে স্পষ্ট করেছেন, অনশন তুলেই নবান্নের বৈঠকে আসতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।