শেষ আপডেট: 13th September 2024 13:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের স্নায়ুর লড়াই দেখেছে রাজ্য। দু'পক্ষের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা ভেস্তে যায়। ডাক্তারদের দাবি ছিল ৩০ জনের প্রতিনিধি নিয়েই তাঁরা বৈঠক করবেন। সেই মতো নিজেরা বাসের ব্যবস্থা করে নবান্নে পৌঁছায়। কিন্তু স্রেফ তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবি নবান্ন মেনে না নেওয়ার আলোচনা হয়নি।
নবান্নের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই ব্যর্থতাকে সামনে রেখেই নাকি অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-কে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
কিন্তু যে চিঠির কপি সামনে এসেছে, তা আসলে নবান্নে ভেস্তে যাওয়া বৈঠকের পর পাঠানো হয়নি। ডাক্তাররা খোলসা করে বলেছেন, 'ওই চিঠি ৯ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর পাঠানো হয়েছিল। ভেবেছিলাম আরজি করের যাবতীয় ঘটনা উল্লেখ করে সব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে বলব। সেই মর্মেই ১২ সেপ্টেম্বর আমরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠাই।'
তাঁরা খোলসা করে জানান, নবান্ন থেকে বেরিয়ে এরকম কোনও চিঠি তাঁরা পাঠাননি। এ নিয়ে পড়ে সাংবাদিক বৈঠকও করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কী কী উল্লেখ করা হয়েছিল ওই চিঠিতে? রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির পরও এত দিন কোনও পদক্ষেপ করেনি স্বাস্থ্যভবন। সেই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার কথা বলে তাঁদের পাঁচ দফা দাবির কথা সেখানে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দু'পক্ষের বৈঠকে চিকিৎসকদের স্পষ্ট দাবি ছিল, স্বচ্ছতার কারণে তাঁরা লাইভ টেলিকাস্ট চান। কিন্তু কী অসুবিধা তা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি ওঁদের।
ডাক্তারদের জন্য প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক না হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না সেই চিকিৎসকদের ক্ষমা করে দিয়ে বলেন তাঁদের এহেন আচরণে তিনি কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট।
এক মাসের ওপর কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তা মেনে নেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা আরও জানান, সহপাঠীর বিচারের দাবিতেই আন্দোলন। সে কারণেই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যর্থতাতেই তা ভেস্তে গেল।