শেষ আপডেট: 17th October 2024 07:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে একে একে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চার জন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও দু'জন চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের সকলেরই শরীর ভাঙছে অনশনের ১৩ নম্বর দিনে। ধর্মতলায় এখন ৭ জন ও শিলিগুড়িতে ১ জন রয়েছেন অনশন মঞ্চে। ১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত তাই থাকবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কলকাতা ও শিলিগুড়ি মিলে যে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁরা আপাতত স্থিতিশীল হলেও এখনও ছাড়া পাননি হাসপাতাল থেকে। কারও কারও শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু চিন্তা বাড়ছে বাকি অনশনকারীদের নিয়ে। শরীর ক্রমশ ভাঙতে শুরু করেছে তাঁদের। দুর্বলতা, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা হচ্ছে শরীর।
এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরা-- ধর্মতলার এই তিন জন অনশনকারী সেই শুরুর দিন, ৫ অক্টোবর থেকে অনশন করছেন। তাঁদের মূত্রে কিটোন বডি মিলেছে ইতিমধ্যেই। অল্পবিস্তর শারীরিক অসুবিধাও দেখা গেছে।
১১ অক্টোবর থেকে অনশনে যোগ দিয়েছেন ভিআইএমএস (শিশুমঙ্গল) হাসপাতালের ইএনটি (নাক, কান, গলা) বিভাগের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রপরিচয় পণ্ডা, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগে পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আলোলিকা ঘোড়ুই। তাঁদেরও মূত্রে মিলেছে কিটোন বডি।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থের পভার্টি মেডিসিনের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া রুমেলিকা কুমার এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিনের পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র স্পন্দন চৌধুরী মঙ্গলবার বিকেল থেকে যোগ দিয়েছেন অনশনে। তাঁরা এখনও ঠিক আছেন আপাতত।
ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য ও তনয়া পাঁজা।
অন্যদিকে শিলিগুড়িতেওও ৫ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেছিলেন যে দুই জুনিয়র ডাক্তার অলোক বর্মা এবং সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁরাও এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর পরে গত ১৪ অক্টোবর থেকে শিলিগুড়িতে আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন আর এক জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল।