শেষ আপডেট: 18th October 2024 17:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইগো নয়, ন্যায্য দাবিতে লড়াই চলবে। শুক্রবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে স্পষ্ট জানালেন আমরণ অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন অনশন চোদ্দ দিনে পড়লেও কেন রাজ্য প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর পাওয়া গেল না তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, আমাদের ১০ দফা দাবি মানতে এত কষ্ট? ১৩ দিন জল খেয়ে আছি। তবুও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই সরকারের। আমরা সবসময় সরকারের দিকে হাত বাড়িয়ে থাকলেও কোনও সদুত্তর মিলছে না।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করে অনশনকারীদের অভিযোগ, কেন মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্য আমাদের মঞ্চে আসতে পারলেন না? উনি কেন এত নিষ্ঠুর? ওঁর কী একবারও মনে হল না অনশন মঞ্চে আসা উচিত?
আগামীদিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ যে আরও বাড়তে চলেছে সেই আভাস দিয়ে এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের ঘোষণা অভয়ার সুবিচারের দাবিতে শনিবার সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ন্যায়যাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে পাশে থাকার আর্জি জানিয়ে অনশনকারীরা জানিয়েছেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে লড়ছি। আমাদের আন্দোলনে ইগোর কোনও জায়গা নেই।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে আক্রমণ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, মাননীয়াকে প্রত্যেক জলের ফোঁটার দাম দিতে হবে।
শুক্রবার ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা বলেন, আমরা শুধু জল খাচ্ছি। আমাদের কথা বলতে অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গা পুজোয় মেতে থাকলেও ১০ মিনিটের জন্য এখানে এসে আমাদের দাবিতে সাক্ষর করে দিতে পারলেন না!
পাশাপাশি শনিবারের ন্যায়যাত্রায় সাধারণ মানুষকে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সায়ন্তনীরা। তাঁদের দাবি, জনতার আশীর্বাদ সবসময় তাঁদের মাথার উপরে আছে। আমরা জানি মানুষ শনিবারের যাত্রায় যোগ দেবেন। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর ২টোয় আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়়ির এলাকা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। তারপর মিছিল যাবে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত। তবে ১৯ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই পথ হেঁটে পার করা সম্ভব নয়। তাই রিলে পদ্ধতিতে ন্যায়বিচার যাত্রা এসে ধর্মতলায় পৌঁছবে বলে খবর।
তবে এদিন অনশনকারী ডাক্তাররা কেন ‘ইগো’র লড়াইয়ের কথা তুললেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে। রাজ্যের দাবি, ১০ দফার মধ্যে ৭ দফা মেনে নেওয়া হলেও বাকি তিন দাবি পূরণের সময়সীমা কোনওভাবেই বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। যদিও আন্দোলনকারীরা প্রথম থেকেই সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ১০ দফা দাবি সরকার না মানলে তাঁদের আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।