শেষ আপডেট: 26th October 2024 17:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদারদের বিরুদ্ধে পাল্টা 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা এও দাবি করেছে নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম মুখ ডাঃ কিঞ্জল নন্দ। বললেন, মানুষের ভেবে দেখা উচিত কাদের পক্ষে তাঁরা থাকবেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন 'টেরর কালচার' চালানোর বড় অভিযোগ তুলেছে ডক্টরস ফ্রন্টের 'মুখদের' বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়ে কিঞ্জলের বক্তব্য, ''মানুষের কাছে সময় এসেছে পক্ষ নেওয়ার। তাঁরা আসলে কাদের পক্ষে আছেন সেটা ভেবে দেখতে হবে। তাঁরা প্রতিবাদ, ন্যায়, বিচারের পক্ষে আছেন, নাকি থ্রেট কালচারের পক্ষ, সেটাই ভাবতে হবে।'' যদিও কিঞ্জল এও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে সকলের অধিকার আছে কোনও সংগঠন তৈরি করে নিজেদের মত প্রকাশ করার। তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে কে কোন পক্ষে থাকবেন তা বিচার করতে হবে মানুষকেই। এমনই মত তাঁর।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যারা সরব হয়েছেন তাঁদের অন্যতম মুখ হলেন অনিকেত, দেবাশিস, কিঞ্জলরা। 'থ্রেট কালচার' ইস্যুতে তাঁদের অভিযোগের পাল্টাই সংগঠন গড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। বিচারের নামে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।
৯ অগস্টের ঘটনার পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। যে যে দাবি নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছিল, কোনও বৈঠকেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করেন। যদিও বলা হয়েছে, নির্যাতিতার বাবা-মার কথা শুনেই তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করেছেন, আন্দোলন চলবে। সেই অনুযায়ী শনিবার গণকনভেনশন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এই একই দিনে তাঁদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনে আন্দোলনের সামগ্রিক পরিবেশই বদলে দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশের দাবি, "আমরাই প্রথম নির্যাতিতা দিদির বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তবে আমরা বলেছিলাম, কর্মবিরতি মানব না। রোগী পরিষেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনা হয়।"
বস্তুত, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনের জেরে সম্প্রতি আরজি করে বসেছিল তদন্ত কমিটি। তাঁরা ৫৩ জনকে সাসপেন্ড করে। শ্রীশ চক্রবর্তী তাঁদেরই অন্যতম। ওই সাসপেন্ডের চিকিৎসকদের একাংশই এই সংগঠন তৈরি করেছেন।