শেষ আপডেট: 18th June 2024 20:03
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রায় ১৫ দিন অতিক্রান্ত। এখনও রাজ্যের অন্তত ১০০টি স্কুলে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা ঠেকাতে বাহিনীকে রাজ্যে আর কিছুদিন রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ জুন।
এভাবে স্কুল দখল করে বাহিনী থাকলে পঠনপাঠন চলবে কী করে, তা নিয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এদিন এ ব্যাপারে আদালতের রায়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ না থাকায় আরও ধোঁয়াশায় শিক্ষক শিক্ষিকারা।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "১০ জুন থেকে স্কুল খুলেছে। কিন্তু এখনও প্রায় ১০০ টি স্কুলে বাহিনী রয়েছে। সেখানে পঠনপাঠনে বিস্তর সমস্যা হচ্ছে। এরপরও যদি স্কুলে বাহিনী রেখে দেওয়া হয় তাহলে পঠনপাঠন চলবে কী করে?"
তাঁর কথায়, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বাহিনী থেকে বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছে না। তারপরও বাহিনী যদি রাখতে হয় তাহলে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লকে কমিউনিটি হল রয়েছে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে কিষাণ মাণ্ডি রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে বাহিনীকে রাখা হোক। অনেক বড় ক্লাবও রয়েছে।"
অবিলম্বে স্কুল থেকে বাহিনী সরানোর দাবি জানিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যপালকে চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন চন্দনবাবু।
প্রসঙ্গত, স্কুলে বাহিনী রাখা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ক্ষতি করে কোনও কিছু করা যাবে না।
তবে মঙ্গলবার এ ব্যাপারে আদালতে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হতাশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে বাহিনীর মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় এদিন কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। রাজ্যও এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও আপত্তি জানায়নি।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ জুন। সেক্ষেত্রে ২১ জুনের পরও বাহিনী কি স্কুলে থাকবে নাকি প্রশাসন তাঁদের বিকল্প জায়গায় ব্যবস্থা করবে, এ ব্যাপারে এদিন আদালতে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি রাজ্য। শিক্ষা দফতরের তরফেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত স্কুলগুলির কাছে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা পৌঁছয়নি। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
পরে টেলিফোনে 'দ্য ওয়াল' কে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "বিভ্রান্তি দূর করতে এরমধ্যেই স্কুলগুলিকে আমরা নির্দেশ পাঠিয়ে দেব।"