শেষ আপডেট: 6 January 2024 11:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে শনিবার আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান ইডির আইনজীবী।
এদিন ওই শুনানির সময়ে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, শঙ্কর আঢ্যর অনেকগুলো এজেন্সি রয়েছে। সংখ্যায় তা অন্তত ১৯টি। এগুলি মূলত বিদেশি মুদ্রা এক্সচেঞ্জ তথা ফরেন এক্সচেঞ্জের এজেন্সি। এই সব এজেন্সি মারফত রেশন দুর্নীতির ২৭০০ কোটি টাকা হাওয়ালা মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ২০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। যার মধ্যে ৯-১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি শুধু রেশন ব্যবস্থায় হয়েছে বলে সন্দেহ ইডির।
ইডির আইনজীবীর কাছে এ কথা শুনে বিচারক বলেন, এর পরেও কি বলা যায় যে বাংলা গরিব? জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, বাংলা গরিব নয়। বাংলার মানুষকে গরিব করে রাখা হয়েছে।
শঙ্কর আঢ্যকে ১৪ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ ব্যাপারে শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবীর যুক্তি গ্রহণযোগ্য হয়নি।
এদিন আদালতের বাইরে শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের যে ফরেন এক্সচেঞ্জের ব্যবসা ছিল তা বৈধ। সেই ব্যবসার মাধ্যমে কোনও অনৈতিক কাজ হয়নি। তাঁর কথায়, ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্যবসার উপর নজরদারি চালায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে এরকম কিছু বলা হয়নি।
শঙ্কর আঢ্যর আইনজীবী আরও বলেন, ইডি আদালতে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির যে কথা বলেছে তা স্বপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ বা নথি পেশ করতে পারেনি। সবটাই মনগড়া কথা। গ্রেফতার করার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে।