শেষ আপডেট: 31st July 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকডাউনে ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। তৃতীয় আনলক পর্যায়ে রেস্তোরাঁ খুললেও সাধ করে কতজন খেতে আসবেন সেটাও ভাবনার বিষয়। অনলাইনে গ্রাহক জুটলেও পেটপুজোর সেই উচ্ছ্বাস কমেছে মানুষের মধ্যে। ভয় বেড়েছে, আতঙ্কও ষোলোআনা। এমনটাই বক্তব্য যোধপুরের বেদিক কুইসিন রেস্তোরাঁর। গ্রাহকের নজর টানতে তাই এই রেস্তোরাঁর নতুন মেনু—মাস্ক নান আর তার সঙ্গে করোনা কারি। ‘আমাদের রেস্তোরাঁয় নিরামিষ খাবারই পাওয়া যায়। লকডাউনে বিশেষ অর্ডার আসেনি। ব্যবসাও লাভের মুখ দেখেনি। এখন রেস্তোরাঁ খুললেও মানুষ ভয়ে খেতে আসতে চাইবে না। তাই নতুন কিছু করার কথা ভেবেছি,’ বলেছেন বেদিক কুইসিনের মালিক অনীল কুমার। তাঁর বক্তব্য, নতুন রকমের রান্না দেখলে কৌতুহল বাড়বে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের এই সময় সচেতনতাও দরকার। নান মাস্ক মনে করাবে রাস্তায় বের হলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর করোনা কারি চেটেপুটে খেয়ে মন ভরবে। https://www.facebook.com/111830960166180/photos/a.115913923091217/296983058317635/?type=3 ঝালেঝোলে কারির মধ্যে বড় বড় করোনাভাইরাস। আসলে নিছকই কোফতা। মালাই কোফতা দিয়ে ঝাল কারি। রেস্তোরাঁর মালিক অনীল বলেছেন, ছানার কোফতা গোল গোল করে কেটে তার চারপাশে ছানারই তৈরি কাঁটার মতো অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ছানার বলগুলো দেখতে হয়েছে ঠিক করোনাভাইরাসেরই মতো। এই কারি খেতে হবে নানে ডুবিয়ে। সেই নানা বানানো হয়েছে ঠিক মাস্কের মতো আকারে। আবার এমনি মাস্ক নয়, তিন স্তরের ফ্যাব্রিক মাস্কের মতো আকারেই নান তৈরি হয়েছে। নতুন এই ডিশ ভোজনবিলাসীদের মন ভরাবে বলেই আশা করা যায়। https://twitter.com/GautamTrivedi_/status/1289181532456759296 https://twitter.com/RamchandaniGP/status/1289215330384924672 রেস্তোরাঁ খুললেও সবরকম সুরক্ষাবিধি মেনেই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন অনীল। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনেই চেয়ার-টেবিল সাজানো হবে। রেস্তোরাঁয় থাকবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও। পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা হবে। তবে এই নান মাস্কের সঙ্গে করোনা কারির যুগলবন্দি অর্ডার করা যাবে অনলাইনেও। যোধপুরের রেস্তোরাঁর করোনা কারি এখন টুইটারে ভাইরাল। মাস্ক নান দেখে খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এর আগে মাদুরাইয়ের একটি রেস্তোরাঁ মাস্ক পরোটা ও করোনা ধোসার ছবি সামনে এনে ইন্টারনেটে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিল। যোধপুরের বেদিক কুইসিনও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হট টপিক। করোনা ভয় কাটাতে কোভিড সন্দেশ তৈরি হয়েছে বাংলাতেও। দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান হিন্দুস্থান সুইটস বানিয়েছিল এমন করোনা সন্দেশ। বাঙালির মিষ্টিতে নতুনত্ব আনা তো বটেই, কোভিড সংক্রমণ নিয়ে মানুষজনকে সতর্ক করতেও এই করোনা সন্দেশ তাদের অভিনব উদ্যোগ ছিল।