শেষ আপডেট: 22nd August 2020 12:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ঠিক একবছর আগে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করেছে মোদী সরকার। এবার সেই মর্যাদা ফিরিয়ে আনার জন্য জোট বাঁধল কাশ্মীরের সবক'টি আঞ্চলিক দল। সর্বভারতীয় দল হিসাবে কংগ্রেস ও সিপিএম আছে সেই জোটে। বিশেষ মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন করার জন্য পরস্পরের বিরোধিতা বিসর্জন দিয়েছে আঞ্চলিক দলগুলি। জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্চলিক যে দলগুলি জোটে রয়েছে, তারা হল ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, পিপলস কনফারেন্স এবং আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্স। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সংবিধানের ৩৭০ ধারায় জম্মু-কাশ্মীরকে যে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল, তা ফিরে পাওয়ার জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি আঞ্চলিক দল ও কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিশেষ মর্যাদা লোপ করার চেষ্টা হলে তারা লড়াই করবে। ওই সিদ্ধান্ত 'গুপকার ডিক্লারেশন' নামে পরিচিত। আগামী দিনে কাশ্মীরের সব দলই গুপকার ডিক্লারেশন মেনে চলবে। কংগ্রেস অবশ্য ইতিমধ্যে গুপকার ডিক্লারেশন সম্পর্কে ভিন্ন সুরে মন্তব্য করেছে। রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান জি এ মির বলেন, গতবছর আমরা গুপকার ডিক্লারেশনে সই করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু তারপরে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা জম্মু-কাশ্মীরকে ফের রাজ্যে পরিণত করার পক্ষে। কিন্তু ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি সম্পর্কে আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। একটি সূত্রের খবর, কাশ্মীরের আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা এতদিন গোপনে জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তাঁর গত কয়েকদিনে গোপন বৈঠকও করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্যের এক প্রবীণ রাজনীতিক জানান, "শুক্রবার আমাদের যৌথ বিবৃতির খসড়া তৈরি হয়। এরপর তা নেতাদের পড়তে দেওয়া হয়েছিল। সব নেতা ওই বিবৃতির বয়ানে সম্মতি জানিয়েছেন।" পরে তিনি বলেন, "দিল্লির বর্তমান সরকার কাশ্মীরের প্রতি যে আচরণ করেছে, আগে কেউ করেনি। এখন আমরা নিজেদের মধ্যেকার সব বিরোধ সরিয়ে রেখেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, কাশ্মীরে সংবিধানের শাসন চালু করা।" জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই তিনি টুইট করে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক আবদুল্লার প্রশংসা করেন। তিনি লিখেছেন, এখন সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দিল্লির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। বিজেপির একসময়কার বন্ধু সাজ্জাদ লোন দৃঢ়ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়াইটা করা যেতে পারে। এটা ক্ষমতার লড়াই নয়। নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই।"