শেষ আপডেট: 30th August 2024 12:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: বাড়িতে ঢুকে কুড়ুলের কোপ। দুই নাবালিকা-সহ গুরুতর জখম তিনজন। জানতে পেরেই অভিযুক্ত যুবককে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার রাত তখন ১১টা। জামবনি থানার কিশোরীপুর গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সিংয়ের বাড়িতে আচমকাই হাতে কুড়ুল নিয়ে ঢুকে পড়ে এলাকার যুবক সনাতন হাঁসদা। বাবলু সিংয়ের স্ত্রী চিৎকার করলে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে যান। অভিযোগ, সঙ্গে সঙ্গে ওই দম্পতির দুটি বাচ্চাকে টেনে নিয়ে তাদের প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে।
খবর ছড়িয়ে পড়তে গ্রামের মানুষ ঘিরে ফেলে গোটা বাড়ি। চলে আসেন সনাতনের সম্পর্কিত দাদা বৌদিও। তাঁরা বাড়ির ভেতর ঢুকে গিয়ে সনাতনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। সুযোগ বুঝে কুড়ুল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই বৌদি মলিনা হাঁসদার মুখে কোপ মারে সনাতন। রক্তাক্ত মলিনা দেবী মাটিতে পড়ে যেতেই সে বাবলু সিংয়ের দুই নাবালিকা কন্যাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কুড়ুল চালাতে থাকে। আটকাতে গেলে দুই নাবালিকারই হাতে কোপ পড়ে। তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে একজনের মুখে এবং অন্যজনের মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে সে।
এরপর আর গ্রামবাসীরা আর ধৈর্য রাখতে পারেননি। ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁরা নিরস্ত্র করেন সনাতনকে। শুরু হয় গণ প্রহার। এরপর গ্রামের লোকজন গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে চিল্কিগড় তারপর ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামবনি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সনাতনকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শুক্রবারও কিশোরীপুর এলাকা থমথমে। বেশিরভাগ মানুষই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন হঠাৎ করে সনাতন কুড়ুল নিয়ে বাবলু সিংয়ের বাড়িতে চড়াও হল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।