শেষ আপডেট: 29th January 2024 19:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: ভবনের চারদিকে ফাটল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ক্লাসরুম। স্কুল লাগোয়া পুকুর মুখ ঢেকেছে কচুরিপানায়। মশার উপদ্রবে পড়ুয়াদের ক্লাসে বসাই দায়। এত কিছুর পরেও হুঁশ নেই স্কুল পরিচলন কমিটির। শুধু কি তাই? রাতের অন্ধকারে স্কুলে বসে মদের আসর। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনডাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় কপালে চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকদের।
শিক্ষা দুর্নীতিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ঝাড়গ্রামের স্কুলের এমন বেহাল দশা জেলার শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম 'বনডাহি'। স্কুলে ঢোকার মুখেই রাস্তায় জল-কাদা। ক্লাসরুমে ঢুকে দেখা যায় চারপাশ থেকে চাঙর খসে পড়ছে। দেওয়ালে ফাটল। পড়ুয়ারা জানায়, বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে। অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসে তারা। ক্লাসেও প্রায় প্রতিদিনই চাঙড় খসে পড়ে। খুব ভয় লাগে তখন।
এই প্রাথমিক স্কুলটিতে প্রায় ২২১ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। তারপরেও স্কুলের কেন এমন দশা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। তারা বলেন, “ক্লাসঘরগুলি ভাঙা। সিলিংয়ে ফাটল। কখন ভেঙে পড়ে! ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। সামনের পুকুরে মশার বাসা। একটা স্কুল, সেখানে গড়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতল। কেউ দেখার নেই।” তাঁদের বক্তব্য, স্কুলের চারিদিকে দেওয়াল না থাকাতেই রাতের অন্ধকারে মদের আসর বসায় সমাজবিরোধীরা।
ঝাড়গ্রাম ডিপিএসসির চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। এই সমস্যাগুলির যাতে দ্রুত সমাধান হয় তারজন্য উদ্যোগী হবেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি নিজে ওই স্কুলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব। স্কুলে যাতে কোনও সমাজবিরোধী কাজকর্ম না হয় তারজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। সর্বশিক্ষা মিশনের সঙ্গে কথা বলে ক্লাসরুমগুলি সারানোরও ব্যবস্থা করব।”ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের এই আশ্বাসে অবশ্য এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না এলাকার মানুষ।