শেষ আপডেট: 5th October 2024 12:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: আড়াই বছরের অপেক্ষা। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রৌঢ়া পেলেন বাবার পেনশন। একাই আড়াই বছরের বকেয়াও পেয়েছে তিনি। শুক্রবার তার মামলার নিষ্পত্তি করেছে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। বিচারক সুক্তি সরকার বিচারাধীন ছিল মামলাটি।
ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবার বাসিন্দা রিনা ঘোষ। তিনি অবিবাহিত। বাবা মৃণালকান্তি ঘোষ ছিলেন প্রাণীপালন দফতরের ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট। ১৯৯১ সালে অবসর নেওয়ার পর পেনশন চালু হয়ে। মৃণালকান্তি মৃত্যু হয় ২০০৪ সালে। এরপরেই মা পারুল ঘোষের নামে পারিবারিক পেনশন চালু হয়। পেনশনের টাকা মোটামুটি স্বচ্ছলভাবেই চলছিল। তবে সমস্যা শুরু হয় ২০২২ সালে পারুল ঘোষ মারা যাওয়ার পরে। মায়ের মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে যায় পেনশন। ভাইরা থাকলেও অথৈ জলে পড়েন রিনা। পারিবারিক পেনশনে নিজের নাম নথিভূক্ত করানোর জন্য দুই জেলার প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের ঘুরতে হয় তাঁকে। কিন্তু কোথাও সুরাহা মেলেনি। ভাইদের সামান্য উপার্জনে সংসার চলছিল। অসুস্থ রিনা তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পাচ্ছিলেন। অবশেষে তিনি ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন।
এই মামলায় ঝাড়গ্রাম ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ আধিকারিক ও দফতরে জেলা পরিষদের উপ অধিকর্তাকে ডাকা হয়। দফতরের কাছে মৃণালাকান্তির সার্ভিস বুক পাওয়া যায়নি। তবে রিনা কাছে থাকা পেনশন পেমেন্ট অর্ডারের স্লিপ দেখে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর ও এজি বেঙ্গলকে উপযুক্ত পদক্ষেপে করার নোটিস পাঠান বিচারক। মৃণালকান্তির পেনশন সংক্রান্ত তথ্য ঝাড়গ্রাম ট্রেজারি থেকে ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ আধিকারিকের দফতরের পাঠানো হয়। তারপরে পারিবারিক পেনশন প্রাপকদের তালিকায় মৃণালকান্তির মেয়ে রিনা নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে রিনা আড়াই বছরের এরিয়া বাবদ ২,৭৪, ৯৩৬ টাকা পেয়ে গেছেন। এরপর থেকে প্রতিমাসে ১০,১৯০ টাকা পেনশন পাবেন রিনা।
রিনার ঘোষের কথায়, " আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। চরম দুর্দশায় দিন কাটিয়েছি। পারিবারিক পেনশন চালু হওয়ায় সুদিন ফিরল। এরপর জন্য জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞা।"