হাতি মৃত্যু ঝাড়গ্রামে, হুলাপার্টি নিয়োগেও দুর্নীতি!
শেষ আপডেট: 19th August 2024 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: হাতি মৃত্যুকে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে ঝাড়গ্রামে। অভিযোগ, হাতি তাড়াতে গিয়ে পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। তাতে বনমন্ত্রীর বীরবাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, টাকা দিয়ে অনভিজ্ঞ লোকেদের হুলা পার্টিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে যোগ্য লোকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদেরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। ফলে হাতির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানাগিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পাঁচটি হাতি ঢুকে যায় শহরে। হামলায় মারা যায় এক ব্যক্তির। এর পরেই ডাক পড়ে হুলা পার্টির। অগোছালো কাজের ফলে হাতি শহর থেকে বার করা সম্ভব হয়নি। একটি হাতিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে অন্যত্র সরানো হয়। বিকেলে হুলাপার্টি দলের এক সদস্য হাতির পিঠে রড ঢুকিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা বনদফতরের কর্মীদের ঘেরাও করে। পুলিশের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত হাতির শুরু হয় চিকিৎসা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন জয়াগায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিটিকে। তবে শেষ রক্ষা করা যায়নি। শুক্রবার ওই হাতির মৃত্যু হয়। পুরো ঘটনায় বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়ির সামনেই ঘটেছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। তবু তিনি একবারও কোনও খোঁজ কেন নিলেন না তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হাতি সমস্যা বাড়ায় সরকার গ্রামের যারা হাতি তাড়ানোর কাজ করেন তাদের থেকে লোক বাছাই করে হুলোপার্টিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বনপতি মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এলাকার অভিজ্ঞ লোকেদের না নিয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরের লোক নিয়োগ করছেন। ফলে হাতি তাড়ানোর কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মানুষের মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে থাকছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনা এই কারণেই ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। হাতি মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ঝাড়গ্রামের ডিএফও। তিনি জানিয়েছেন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে আছে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।