শেষ আপডেট: 25th May 2024 15:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যদি ভোটের সময় এলাকায় ঢুকে পড়ে! এ আশঙ্কা ছিলই। ভোটপর্ব শান্তিতে সম্পন্ন করতে কমিশনের পাশাপাশি সব ধরনের আয়োজন রেখেছিল বন দফতরও। তবুও শনিবার ভোটের সকালে সকলের নজর এড়িয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছে গেল এক দাঁতাল!
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার শোরগোল পড়ে যায় ঝাড়গ্রামের জিতুশোলে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ হুলাপার্টিকে খবর দেয় বন দফতর। ফের দাঁতালটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তাঁরা।
বিকেল ৩টে পর্যন্ত নতুন করে হাতির উৎপাতের ঘটনা না ঘটলেও দিনভর জঙ্গল এলাকায় দলমার দামালদের আগমনের আশঙ্কায় সজাগ থাকতে দেখা গিয়েছে বনকর্মীদের। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় হাতি তাড়ানোর কাজে বনকর্মীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে বাহিনীর জওয়ানদের।
গ্রামবাসীদের কথায়, একসময গুলি-বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে থাকত জঙ্গল মহলের বাতাস। দিনে রাতে পড়ত লাশ। তবে ২০১২ সালে জামবনির বুড়িশোল জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষে মাও নেতা মাল্লেজুল্লা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির মৃত্যুর পর থেকে জঙ্গলমহলে মাও প্রভাব কমেছে। সেই জায়গায় নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে হাতিকে ঘিরে।
বন দফতর সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে এই মুহূর্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৭৩টি হাতি। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম লাগোয়া খড়গপুর ডিভিশনে রয়েছে আরও ২২টি হাতি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রাম লাগোয়া মেদিনীপুরের জঙ্গলেও রয়েছে হাতি। নদী টপকে বা জঙ্গলপথে যদি ভোটের দিন লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতি, তা নিয়ে মাথা ব্যথার অন্ত ছিল না কমিশনের।
যে কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হাতির গতিবিধি অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম ডিভিশন ১৪০ টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিতও করেছিল বন দফতর। হাতি তাড়াতে হুলা পার্টি-সহ সব ধরনের আয়োজনও করা হয়েছিল। যাতে হাতির হানায় ভোটার কিংবা ভোট প্রক্রিয়ার কোনও ক্ষতি না হয়।