শেষ আপডেট: 17th June 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর্থিক সঙ্কটে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে জেট। গত ১৭ এপ্রিল থেকে পুরোপুরি স্থগিত রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিষেবা। লগ্নির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিমান পরিবহন সংস্থা। চলছে ক্রেতার খোঁজ। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেই জেটের হাত ছাড়ছেন একের পর এক উচ্চপদস্থ কর্তা। মঙ্গলবার শেষ দুই ডিরেক্টরও জেট ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। কোটি টাকার লগ্নি হারিয়ে এক ধাক্কায় এয়ারলাইন্সের শেয়ার নামল ৪১ শতাংশে। এ দিকে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনালে জেটের বিরুদ্ধে দেউলিয়া মামলা দায়ের করেছিল স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতাদের গোষ্ঠী। বুধবার হবে সেই মামলার শুনানি। জেটের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের কথায়, "আমি খুব দুঃখিত ও মর্মাহত যে আমাদের কর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত। সব কিছুর সমাধানের জন্যই আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে আছি। " গয়াল আরও বলেন, "আমি আশা রাখছি এবং প্রার্থণা করছি শীঘ্রই নতুন সমাধান সূত্র বার হবে এবং জেটের কর্মীরা শুধু নন, যাত্রীরাও তাঁদের পছন্দের উড়ান আবার ফিরে পাবেন।। " বিমানসংস্থা সূত্রে খবর, কার্যত নিষ্ক্রিয় ম্যানেজমেন্ট বোর্ড ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন শেষ দুই অধিকর্তা অশোক চাওলা এবং শরদ শর্মা। এঁরা দু’জন ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর হিসেবে জেটের পর্ষদে ছিলেন। এপ্রিলেই পদত্যাগ করেন আরও এক ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর রাজশ্রী পথী। এর আগে জেটের সিইও পদ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিনয় দুবে। পদত্যাগ করেছিলেন কোম্পানি সেক্রেটারি ও কমপ্লায়েন্স প্রধান কুলদীপ শর্মা, সিএফও অমিত আগরওয়াল, চিফ পিপল অফিসার রাহুল তানেজা। জেটের ভরাডুবির সময়তেই চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। পর্ষদ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী অনিতা গয়াল ও এতিহাদের মনোনীত ডিরেক্টর কেভিন নাইট। গত নভেম্বরে পর্ষদ ত্যাগ করেন স্বাধীন ডিরেক্টর বিক্রম সিংহ মেটা এবং রঞ্জন মাথাই। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের জোটের কাছে জেটের বকেয়া প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকা। ১০,০০০ কোটি টাকা পায় পাওনাদারেরা। ঋণগ্রস্ত জেটের ৫১% অংশীদারি হাতে নিয়েছিল ঋণদাতাদের গোষ্ঠী। প্রথমে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা বলা হলেও তা হয়নি। এর পরে পরিষেবা স্থগিত হয়ে যায় জেটের। প্রায় ২০,০০০ কর্মীর বেতন এখনও বাকি। জেটের জন্য দরপত্র জমা পড়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। বলেছিলেন, দু’টি সংস্থা তা জমা দিয়েছে। আরও একটি সংস্থার আগ্রহ দেখানোর কথা। শেষ পর্যন্ত এতিহাদই খোলাখুলি দরপত্র জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তবে অন্য সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে লগ্নিতেই তারা আগ্রহী বলে স্পষ্ট করেছে।