শেষ আপডেট: 8th October 2024 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ন’বছরের ছাত্রীকে সাইকেলে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার দেহ। আদালতের নির্দেশে কল্যাণী এমসে ময়নাতদন্তের পর সোমবার রাতে গ্রামে এসে পৌঁছয় শিশুর নিথর দেহ।
আগে থেকেই অধীর অপেক্ষায় ছিল আস্ত গ্রামটা। পুলিশ দেহ নিয়ে গ্রামে ঢুকতেই অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে গর্জে উঠলেন গ্রামের ৭ থেকে ৭৭। সকলের মুখে একটাই কথা, 'এমন নর-খাদকদের চরমতম শাস্তি প্রয়োজন। তা না হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।'
ঘটনার পরই শিশুকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোেগে প্রতিবেশী যুবক মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, চতুর্থশ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের পরেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোটে তা স্পষ্ট করে উ্ল্লেখও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরই পরিবারের তরফে স্থানীয় ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। পরের দিন গ্রামের জলা জমি থেকে দেহ উদ্ধারের পর ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের সেই ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছিল। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে সেই ফাঁড়ি। ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্মী জখমও হন।
পরিস্থিতি আন্দাজ করে এদিন গ্রামে দেহ নিয়ে যাওয়ার আগেই কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল জেলা পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতা শিশুর বয়স ১০ বছরের কম হওয়া সত্ত্বেও কেন পকসো আইনে মামলা হয়নি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতি এও বলেন, 'সুরতহালের পরেও কেন পুলিশ পকসো ধারায় মামলা রুজু করল না?' আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যে পকসো আইনের ধারা যুক্ত করেছে পুলিশ।