জওহর সরকার
শেষ আপডেট: 19th September 2024 20:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদ ছেড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার খবর জানালেন জহর সরকার।
বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘নিয়ম মেনে আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাই। সাংসদ এবং সংসদের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ, যারা আমাকে সাহায্য করেছেন। অনেক কিছু শিখিয়েছেন।’
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ আরও জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে আমি মুক্ত এবং একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে অন্যদের মতো প্রতিবাদের পূর্ণ স্বাধীনতা আমারও থাকবে।’ গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন জহর। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। এবার পাকাপাকিভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন তিনি।
Thanks to Chairman Rajya Sabha for accepting my resignation as MP on grounds of principle.
— Jawhar Sircar (@jawharsircar) September 19, 2024
Thanks also to all MPs and Officials of Parliament who helped me and taught me a lot.
Now, I’m a free man and an ordinary citizen, lining up like all others — with full freedom to protest! pic.twitter.com/rcLNYzakFi
গত রবিবার রাজ্য সরকারকে নিয়ে একাধিক অসন্তোষের কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন জহর সরকার। পরে এও জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ তাঁর ফোনে কথাও হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন পদ না ছাড়তে। তবে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন জহর। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হল। জহর সরকারের ইস্তফার কারণে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ১৩ থেকে কমে হল ১২।
জহরের ইস্তফা পর্বের মাঝেই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের ধর্না মঞ্চে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের ভাই-বোন সম্বোধন করে মমতা এও বলেছিলেন, 'আমিও সমব্যাথী। তোমাদের দাবিকে আমিও সমর্থন করি।' আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রীর ওই পদক্ষেপের পর সোশ্যাল মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করেছিলেন জহর।