শেষ আপডেট: 21st June 2023 12:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিচারপ্রক্রিয়া চলছে তখনও। বিচারপতি বসে আছেন ডায়াসে। আইনজীবীরা সওয়াল-জবাবে মগ্ন। সেই সময় আচমকাই অভিযুক্তকে বাড়ির লোকজন ধাঁই করে বিশাল একটা বস্তা নিয়ে এসে ফেললেন জজসাহেবের টেবিলে। খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! বস্তার ভিতর রয়েছে শয়ে-শয়ে কয়েন। ১ টাকার, ২ টাকার, ৫ টাকার এবং ১০ টাকার। খুচরো পয়সা ভর্তি সেই বস্তার মোট ওজন ২৮০ কেজি (280kg of coins )! আর ভিতরে থাকা পয়সার ,মোট মূল্য ৫৫ হাজার টাকা!
আসলে হয়েছে কী, পণপ্রথা বিরোধী আইনে বিচার চলছিল দশরথ কুমাওয়াতের। বিচারক তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, স্ত্রীকে ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু দশরথ তা দিতে পারেনি। ফলস্বরূপ, এখন জেলে পচছে সে। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন ছেলেকে ছাড়াতে বদ্ধপরিকর। তাই তাঁরাই আদালতের নির্দেশ মতো টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে ২৮০ কেজির কয়েন ভর্তি বস্তার আগমন।
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় এক দশক আগে। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা দশরথের সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সীমার। কিন্তু বিয়ের দু বছর কাটতে না কাটতেই স্বামীর বিরুদ্ধে পণ চেয়ে অত্যাচার করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন সীমা। সেই মামলা গত ৫ বছর ধরে আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই বিচারপতি দশরথকে নির্দেশ দেন, খোরপোষ হিসেবে সীমাকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
কিন্তু দশরথ কানাকড়িও দেয়নি, ফলে তার জেল হয়। এরপরেই ছেলেকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য তার বাবা-মা এবং বাড়ির বাকিরা ওই টাকার কিছু অংশ আদালতে জমা দেবে বলে ঠিক করে। তারপরেই খুচরো পয়সায় মোট ৫৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। হকচকিয়ে যান বিচারকও। তবে তিনি দশরথকে নির্দেশ দিয়েছেন, কয়েনগুলো ঠিক মতো গুনে এক একটি ব্যাগে ১০০০ টাকা করে ভরে সেই মতো গুছিয়ে রাখতে। আগামী ২৬ দিন মুদ্রাগুলি গোনার দিন ধার্য করা হয়েছে। তার আগেই সেগুলি গুছিয়ে আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মনোরঞ্জন তৃণমূলের পদ ছাড়লেন, খাবেন কী? সেই ভেবে বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না