শেষ আপডেট: 14th September 2024 17:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে উপস্থিত হওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে এক্সবার্তা সদ্য পদত্যাগী তৃণমূল নেতা জহর সরকারের। শনিবার মাত্র একটি শব্দে মমতার পদক্ষেপকে 'বাঃ' বলে বর্ণনা করেন প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার। তিনি লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম, আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। তারপর এদিন দুপুরে মমতা সোজা ডাক্তারদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে তারিফ করে বাহবা দিলেন দলের সদ্য প্রাক্তনী বর্ষীয়ান নেতা জহর সরকার।
বাঃ।
— Jawhar Sircar (@jawharsircar) September 14, 2024
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম:
“আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।”
???????? pic.twitter.com/YoVsVZFy4T
এর আগে জহর সরকার লিখেছিলেন, তিনি আরও লিখেছেন, আমার বিশ্বাস, আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। কাজেই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি নয় বরং শুধু বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও সরাসরি মমতার নিন্দা বা সমালোচনা না করলেও ঠারেঠোরে বিরোধিতার সুর তুলেছেন একাধিকবার।
তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তিনিও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ ও খুনের নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন।
সরকার নিয়ে একাধিক অসন্তোষের কারণ আগেও ব্যাখ্যা করেছেন জহর। মুখ খুলেছেন দুর্নীতি নিয়ে। মমতাকে দেওয়া চিঠিতে সেই প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। লিখেছিলেন, মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে ইস্তফা দেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে সেই ইস্তফাপত্র দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন জহর। গত রবিবার রাজ্য সরকারকে নিয়ে একাধিক অসন্তোষের কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে এও জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ তাঁর ফোনে কথাও হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন পদ না ছাড়তে। তবে নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন জহর। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যেভাবে খোদ নিজে ধরনা মঞ্চে গিয়ে ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তাকেও তারিফ করতে ভোলেননি জহর সরকার।