শেষ আপডেট: 27 October 2022 11:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তুমুল অর্থ সংকটে (Financial Crisis) পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে থেকে যে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের উদ্দেশে খোলাখুলি প্রতিষ্ঠানের এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das)।
২৪ অক্টোবর তিনি গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনি ফাউন্ডেশনকে লেখা তাঁর চিঠিতে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তহবিল গঠনের আবেদন করছি। যাতে পরিকাঠামো বজায় রাখা এবং তা উন্নত করতে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আমাদের প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে অর্থ সমস্যায় না পড়তে হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এমন তহবিল সংকটের সম্মুখীন হয়েছে যে, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে এই সমস্যা বেশি বলে উল্লেখ করেছেন উপাচার্য।
প্রসঙ্গত, উপাচার্যের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আধিকারিক গৌর কৃষ্ণ পট্টনায়কের হাউস জার্নালে লেখা নিবন্ধেও অর্থ সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি লেখেন, ২০১৭-র পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুদান বলতে গেলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের অর্থ সাহায্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, বেতন এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রয়োজনের ৫০ শতাংশেরও কম অনুদান পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেল্ফ ফিন্যান্স কোর্স থেকে আয়ের উপর ভরসা করে চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনার পর সেই খাতে আয়েও ভাটা পড়েছে। ফলে অনেক জরুরি প্রয়োজনে অর্থ খরচের উপর বিশ্ববিদ্যালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়েছে।
বিভাগগুলিকে বলা হয়েছে যে ল্যাব টিচিং, বিভাগীয় গবেষণার মতো ক্ষেত্রে বার্ষিক বাজেট তিন লাখ টাকা বা তার কম হলে বরাদ্দের ৬০ শতাংশ ব্যয় করা যেতে পারে। আর তিন লাখ টাকার বেশি হলে ব্যয়ের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬০ শতাংশে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে উপাচার্য স্বীকার করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগগুলিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তহবিলের অভাব ল্যাবরেটরি রক্ষণাবেক্ষণ পর্যন্ত থমকে গিয়েছে, বলেছেন বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক।
আন্দামানে নিজের বাংলোয় গণধর্ষণে অভিযুক্ত স্বয়ং মুখ্যসচিব! তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের