শেষ আপডেট: 27th August 2023 10:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর (Jadavpur) কাণ্ডে পুলিশের চোখে ধোঁকা দিতেই তৈরি হয়েছিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেই গ্রুপেই হত যাবতীয় আলোচনা। কীভাবে তদন্তে প্রভাবিত করা যায় সেই ছক কষা হত ওই গ্রুপেই। কে কী বলবে, তাও ঠিক করতেন সৌরভ। আদালতে এদিন পুলিশ এমনই জানায়।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে (Sourav Chowdury) আটদিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিনও সৌরভের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক সৌরভকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে প্রয়োজনে পুলিশ জেলে গিয়ে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, জানান বিচারক।
ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে র্যাগিং, এমন অভিযোগ আদালতে আগেই করেছিল পুলিশ। কীভাবে হস্টেলে, র্যাগিং হয় সেই সম্পর্কেও বিভিন্ন ছাত্র ও হস্টেল কর্মীর বয়ান আদালতে জমা করে পুলিশ। পুলিশ আগেই বলেছিল, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কিংপিং সৌরভই। তাঁকে বাঁচাতে বাকিরা কীভাবে ছক কষেছিলেন সেটাও আদালতে জানানো হয়।
এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী সওয়াল জবাবের সময় দাবি করেন, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরই 'জেইউএমইএইচ' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলেন সৌরভরা। সেখানেই পুলিশই জেরায় কে কী বলবেন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়। পুলিশ দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, 'পিক
সৌরভের আইনজীবী জানান, পুলিশ এখনও ওই ঘটনার সঙ্গে সৌরভের যোগ রয়েছে এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তে কোনও অগ্রগতি করতে পারেনি। সৌরভকে জামিন দেওয়া হোক। জেলে যাতে দাগী আসামিদের সঙ্গে তাঁর মক্কেলকে রাখা না হয় সেই আবেদনও করেন সৌরভের আইনজীবী।
এদিন আদালতে সৌরভকে যখন আনা হয় তখন সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সৌরভকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরেই আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও সৌরভ দাবি করেছিলেন যে, তিনি অপরাধী নন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির জোড়া মিছিল! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, আটক কয়েকজন