শেষ আপডেট: 5th March 2025 17:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনায় হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়েও তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
মামলার শুনানিতে এদিন রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতির প্রশ্ন, 'আহত ছাত্র (ইন্দ্রানুজ রায়) বয়ান দেওয়ার পরও কেন রাজ্য এফআইআর দায়ের করল না?' এরপরই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশ একপেশে তদন্ত করেছে। অথচ রাজ্যের উচিত ছিল অভিভাবকের মতো আচরণ করা।
গত শনিবার যাদবপুরে ওয়েবকুপার সম্মেলনে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত। অভিযোগ, সেই সময়ে উপাচার্য আহত হন এবং দুই ছাত্রও গুরুতর চোট পান। এক পড়ুয়ার অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি তাঁকে চাপা দিয়েছে, অন্য পড়ুয়ার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
এ বিষয়েই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় রাজ্যের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। কেন মন্ত্রীর সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল না, রাজ্যের কাছে সেই রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'না হলে প্রতিবেশী দেশের মতো পরিস্থিতি হবে!'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মন্ত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা বিধি থাকা জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা আগুনের মত ছড়িয়ে পড়বে। গোটা ঘটনায় গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কেন গোয়েন্দাদের কাছে আগাম খবর ছিল না, তাও জানতে চান বিচারপতি। এরপরই আহত ছাত্রর বয়ান অনুযায়ী, রাজ্যকে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।