শেষ আপডেট: 14th October 2024 16:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি পূরণ নিয়ে সোমবার স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকেও মিলল না কোনও সমাধানসূত্র। সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ সমস্ত চিকিৎসক সংগঠন। দীর্ঘ বৈঠক শেষে সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিলেন, মৌখিক নয়, লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে সরকারকে।
সূত্রের খবর এদিন দুপুর পৌনে ১টা থেকে সাড়ে ৩টে অবধি বৈঠক চললেও রাজ্যের বিরুদ্ধেই গড়িমসির অভিযোগ তোলে চিকিৎসক সংগঠন। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে বেরিয়ে এসে চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের জানান, এদিনের বৈঠকে আমরা জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের তরফে শুধু মৌখিক আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে।
সরকারের পরিস্থিতি বোঝার আবেদন জানিয়ে মুখ্যসচিব চিকিৎসক সংগঠনের উদ্দেশে জানান, ওঁদের ১০টির মধ্যে ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ দাবিতে কোনওভাবেই সময়সীমা বেধে দেওয়া সম্ভব নয়। মনোজ জানান, এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে স্বাস্থ্য ভবনে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। সরকার পুরো পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল। তিনি মনে করিয়ে দেন, আমরা চাইনা অনশন চলুক। অনুরোধ করব জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন প্রত্যাহার করুন।
সোমবার বৈঠক শেষে চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? যেখানে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নিজেই অনুপস্থিত। পরে আমাদের জানানো হয় উনি বিশেষ কাজে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। তবে সিনিয়ররা বারবার জানিয়েছেন, আমরা এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিবকে অনুরোধ জানিয়েছি, আপনি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আসুন এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন। তবে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আশা করব প্রতি বছরের মতো এবছরও রেড রোডে পুজোর কার্নিভাল হবে। আশা করব মঙ্গলবার সিনিয়র চিকিৎসকদের কার্নিভাল ওঁরা বন্ধ করবেন।
স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য সচিব ও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের অপসারণের দাবি জানান। পাশাপাশি মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিকিৎসকরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে খবর।
সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমরা সবসময় জুনিয়রদের পাশে আছি। ওঁদের দাবি না মানলে অচলাবস্থা চলবে। আমরা ওঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। রাজ্য এর আগেও অনেকবার আলোচনায় বসলেও কোনও সুরাহা হয়নি। অন্যদিকে সোমবার ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের দশম দিন। দিন যত এগোচ্ছে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে।
রবিবারই ইমেল করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ সমস্ত চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সেই মতোই সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার আগেই স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে যান চিকিৎসকদের ১২ সংগঠনের দু’জন করে প্রতিনিধি।