শেষ আপডেট: 29th September 2024 15:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে রবিবার সকালেই সরব হয়েছিলেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। এবার হুমায়ুনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনল চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ।
শুধু অভিযোগ নয়, এ ব্যাপারে আইএমএ-র তরফে সুপ্রিমকোর্টে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আরজি করে নিজের কর্মস্থলে ডাক্তারি ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের শিকার হয়েছেন। কামারহাটিতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের মারধর করা হয়েছে। আরজি কর করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
রঞ্জনবাবু এও বলেন, "শীর্ষ আদালত রাজ্যকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিল। সেখানে শাসকদলের বিধায়কের এমন হুমকি তো থ্রেট কালচারকেই উস্কে দেয়। তাহলে ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?
আরজি কর নিয়ে সোমবার সুপ্রিমকোটে শুনানি রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে হুমায়ুন কবীরের প্রসঙ্গটি তুলে ধরবে আইএমএ। তাঁদের মতে, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক যেটা বলেছেন, সেটাও এক প্রকারের থ্রেট কালচার।
ঘটনার সূত্রপাত, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘‘ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূলেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে...।’’
ওই ঘটনায় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে চিকিৎসক সংগঠন। তারপরই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে হুমায়ুন বলেন, "শুনলাম আমার নামে এফআইআর করেছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, জামিন নেব না। প্রয়োজনে পুলিশ আমাকে অ্যারেস্ট করুক। জেল খেটে বাইরে এসে ৫০ হাজার লোককে সঙ্গে নিয়ে যাব। দেখব, তখন বহরমপুর মেডিকেলের ডাক্তারবাবুরা কী করেন?"
এরপরই সরব হন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, "সমাজ বিরোধিী সমাজ বিরোধীই থাকে। বিধায়কের হুমকি সেটাই স্পষ্ট করে।" অবিলম্বে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকারের কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে সুবর্ণ বলেন, "চিকিৎসকরা নিরস্ত্র থাকেন। তাই ৫০ হাজার লোক দরকার নেই, ৫-৬ জন হলেই হামলার জন্য যথেষ্ট। আসলে চিকিৎসকরা সফট টার্গেট, তাই বারে বারে তাঁদের ওপরেই হামলা হয়।"