দ্য ওয়াল ব্যুরো : কয়েকবছর আগেই বাজারে এসেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস 'সিগন্যাল'। ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটস অ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবেই বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছিল ওই অ্যাপ। আচমকাই তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে ব্যাপক হারে। নতুন অ্যাপে রেজিস্টার করেছেন বহু মানুষ। হোয়াটস অ্যাপের নতুন পলিসি নিয়ে খুশি নন অনেকেই। কারণ তারা স্থির করেছে, গ্রাহকদের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকের অন্যান্য অ্যাপ ও পরিষেবাকে দেওয়া হবে। গ্রাহকরা অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলে তাঁদের গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি এত বেশি সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারকারী সিগন্যালের গ্রাহক হতে চেয়েছেন যে, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করাতে সমস্যা হচ্ছে। সিগন্যাল কোম্পানি টুইট করে বলেছে, প্রত্যেক গ্রাহকের পরিচয় খতিয়ে দেখে তবেই তারা রেজিস্ট্রেশন করাচ্ছে। তাই সময় লাগছে বেশি।
গত বুধবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের অন্যতম ইলোন মাস্ক সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, আপনারা সিগন্যালের গ্রাহক হোন। তার পরে অনেকে নতুন অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রি করানোর উদ্যোগ নেন।
সিগন্যাল ফাউন্ডেশন নামে এক অলাভজনক সংস্থা সিগন্যাল অ্যাপ তৈরি করেছে। ২০১৪ সালে ওই অ্যাপ বাজারে আসে। তখন সিগন্যাল ফাউন্ডেশন জোর দিয়েছিল গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার ওপরে। তার ট্যাগলাইন ছিল 'সে হ্যালো টু প্রাইভেসি'। সিগন্যালেও হোয়াটস অ্যাপের মতো এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশান হয়। অ্যান্ড্রয়েড, আই ফোন, আই প্যাড, উইন্ডোজ, ম্যাক, লিনুক্স-এর মতো ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় সিগন্যাল।
সিগন্যাল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন হোয়াটস অ্যাপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন। ২০১৭ সালে হোয়াটস অ্যাপের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। সিগন্যালেও হোয়াটস অ্যাপের মতো নানা সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু তা গুগল ড্রাইভ বা আই ক্লাউডে কথোপকথনের ব্যাক আপ রাখতে দেয় না। ওই অ্যাপে কোনও গ্রুপ কারও সম্মতি ছাড়া তাকে অ্যাড করতে পারে না।
সম্প্রতি হোয়াটস অ্যাপ তার প্রাইভেসি পলিসি ও টার্মস অব সার্ভিস বিস্তারিত জানায়। তাতে বলা হয়, তারা বরাবরই গ্রাহকদের তথ্য ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও পরিষেবার কাছে বিক্রি করে। ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও তারা জেনে ফেলে। কেউ যদি অ্যাপল আই ফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাহলেও তাঁর লোকেশন অর্থাৎ তিনি কোথা থেকে অ্যাপ ব্যবহার করছেন তা জেনে ফেলা যায়।