শেষ আপডেট: 1st May 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: থালা ভর্তি চিজ-ওমলেট-বিনস-সসেজ দেখেই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল যাত্রীদের। এ কি? দেশি এয়ারলাইন্সে বিদেশি খাবার কেন? তাও আবার ইংরাজি প্রাতরাশ? চোখ রাঙিয়ে বিমানকর্মীদের খুব একচোট বকাবকি করে ফেসবুক, টুইটারে এই খবর ভাইরাল করে দিয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। প্রাথমিক ভাবে এই খাবার স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করলেও যাত্রী বিক্ষোভে নাজেহাল হতে হচ্ছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সকে। বিমানসংস্থা সূত্রে খবর, প্রাতরাশের ধরাবাধা মেনু চিজ ওমলেট, সসেজ, বিনস এইসবই পরিবেশন করা হচ্ছিল যাত্রীদের। তবে কয়েকজন বেঁকে বসেন। তাঁরা তেল জবজবে পরোটা, হালুয়া-পুরি খেতে চাইছিলেন। কিন্তু, বিমানে তো এইসব খাবার দেওয়া হয়না। কাজেই বচসা শুরু হয়ে যায় অচিরেই। যাত্রীদের শান্ত করতে কয়েকজন বিমানসেবিকা বলেন, এইসব খাবার পুষ্টিকর, শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কেউ বলেন, “খেয়ে দেখুন, একেবারে বাড়ির স্বাদ পাবেন।” তাতে আরও খাপ্পা হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। ঘটনার শেষ এখানেই হয় না। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে বেশ ফলাও করে ছবি-সহ এই খবর ছড়িয়ে দেন কয়েকজন যাত্রী। তারপরেই কমেন্ট-পাল্টা কমেন্টে ভরে ওঠে টুইটারের পেজ। কেউ লেখেন, ‘বাড়ির স্বাদ’ বলতে বিমানসেবিকারা ঠিক কি বলতে চাইছেন। সসেজ আর যাই হোক বাড়ির মায়ের হাতের রান্না নয়। কোনও ভিউয়ার আবার লিখেছেন, “আমরা পাকিস্তানি। কাজেই বাড়ির স্বাদ বলতে বুঝি তেলে চোবানো খাস্তা পরোটা, বা ডিমের কুসুমে গোলা পরোটা।” “হালুয়া-পুরি-পরোটার জায়গায়, খাস ইংরেজি প্রাতরাশ ব্রেড-ওমলেট, একি অনাসৃষ্টি কাণ্ড!” চোখ রাঙিয়ে মিডিয়াকে বলেছেন ওই বিমানেরই এক যাত্রী। তাঁর দাবি, “পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সের কর্মীদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া উচিত। ব্রিটিশ রুচিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যেটা একেবারেই অনুচিত।”