শেষ আপডেট: 9th July 2024 23:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধুসূদন দত্তের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক আলোচনাসভা।
'মধুসূদন মিষ্টি কবি। বাংলা কাব্য ও নাটকে তিনি মধুসম মিষ্টি স্বাদ এনেছেন। জন্মের দুশো বছরেও সেই স্বাদ অমলিন। আমরা আজ তাঁকে নতুন করে পেলাম', প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক অমলেন্দু ভুঁইয়া। সূচনায় মধুসূদন রচিত, বিভাগের গবেষক উজ্জ্বল গরাই সুরারোপিত 'হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন…' গানটি যথাযথ হয়েছে। অনুষ্ঠানের দুই আহ্বায়ক ড. তুষার পটুয়া ও ড. শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ‘দ্বিশতবর্ষে মধুসূদন’ আলোচনাসভাটিতে যোগ দেন প্রায় ছ'শো শ্রোতা।
বহুদিন আগে বঙ্কিম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় মধুকবি সম্পর্কে লিখেছিলেন, '…জাতীয় পতাকা উড়াইয়া দাও—তাহাতে নাম লেখো শ্রীমধুসূদন।' সেই কথার রেশ টেনে প্রাবন্ধিক বারিদবরণ ঘোষ বলেন, 'বাঙালিরা আজও তাঁদের মন পতাকায় শ্রীমধুসূদন লিখে চলেছেন। যত দিন বাংলা সাহিত্য থাকবে তত দিন শ্রীমধুসূদনও থাকবেন।'
বর্তমান সময়ে মধুসূদনের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম হালদার বলেন, 'নাটক, কবিতা, প্রহসন, সনেট সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। যদি তাই না হত তবে মেঘনাদবধ কাব্যকে নিয়ে আমার নির্মিত নাটক বহু দিন ধরে হাউসফুল হত না।'
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশের ফার-ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সন্দীপ মল্লিক, অধ্যাপক সঞ্জিৎ মণ্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাবিত্রী নন্দ চক্রবর্তী, অধ্যাপক সুখেন বিশ্বাস, অধ্যাপক প্রবীর প্রামাণিক, অধ্যাপক নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক আলোক ঘোষ প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মধুসূদনকে নিয়ে রচিত প্রায় দুশো'টি নতুন পেপার পাঠ করা হয় বাংলা বিভাগে। আলোচনাসভার দুই আহ্বায়ক ড. তুষার পটুয়া ও ড. শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্ত যৌথভাবে জানান, 'বাছাই করা পেপার নিয়ে অচিরেই দ্বিশতবর্ষে মধুসূদন বইটি প্রকাশিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।'