শেষ আপডেট: 30th November 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘ভারতের সঙ্গে এমনই হওয়া উচিত’, মার্কিন আদালতে দাঁড়িয়ে বলল ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। এখানেই শেষ নয়। লস্করের চাঁই রানার বক্তব্য, মুম্বইতে ভয়ঙ্কর নাশকতা চালানোর জন্য তাকে মেডেল দেওয়া উচিত। যে ন’জন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত পাকিস্তান সরকারের। মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে আগামী বছরই। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় জেল খাটছে সে। তার হাজতবাসের মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। গত ১৩ নভেম্বর লস অ্যাঞ্জেলসের আদালতে বিচারক জ্যাকলিন চেলোনিয়ান জানিয়েছেন, আগামী বছরই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে রানাকে। বন্দি প্রত্যর্পণের মামলার শুনানি হবে একুশ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। মার্কিন অ্যাটর্নি নিকোলা টি হান্না বলেছেন, ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে জামিন চেয়েছিল তাহাউর রানা। কিন্তু ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কোনওভাবেই রানার জামিন মঞ্জুর করা হবে না। লস অ্যাঞ্জেলসের ওই আদালতের আশঙ্কা, জামিন পেলে রানা পালিয়ে যেতে পারে। পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী তাহাহুর হুসেন রানা মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড হেডলি কোলম্যানের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। গত ১০ জুন ওই নাশকতার ঘটনাতেই রানাকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। সূত্রের খবর, ২৬/১১ হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলির ঘনিষ্ঠ বন্ধু রানা। ২০০৮ সালে মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত কার্টুন ছাপায় ডেনমার্কের একটি অফিসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল তারা। ২০০৯ সালে দুজনকেই গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। জেরায় বেরিয়ে আসে মুম্বই হামলায় তাদের যোগসূত্রের কথা। জানা যায়, লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে রানার। একটা সময় লস্কর সংগঠনের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হয়ে ওঠে সে। মুম্বইতে ভুয়ো অভিবাসন দফতর খুলে তার আড়ালে নাশকতার ছক কষেছিল রানা ও হেডলি। আজমল কাসভ সহ যে নয় জঙ্গি জড়িত ছিল হামলায় তাদের সকলের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল রানার। ২০১৩ সালে ১৪ বছরের জেল হয় তার। তবে যে হেতু আগে থেকেই সে জেলবন্দি ছিল, তাই ২০২১ সালেই সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার আগেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে মিলে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম সেরে ফেলতে চায় ভারত সরকার।