শেষ আপডেট: 27th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইনটেলিজেন্স স্পেসক্রাফ্টে নজরদারি হোক বা পৃথিবীর কক্ষে ঘুরতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ, সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ কায়েম রাখতে মহাকাশে রোবট পাঠাচ্ছে চিন। বিশ্বে প্রথম ‘অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং রোবট‘ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করবে আগামী নভেম্বর মাসে। চিনা মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, নামেই মাইনিং রোবট, তবে এর কাজ নজরদারি চালানো। ৩০ গ্রাম ওজনের স্পেসক্রাফ্ট নাম নিও-১ (NEO-1) । চিনের লং মার্চ রকেটে চাপিয়ে একে পৃথিবীর কক্ষে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ৫০০ কিলোমিটার কক্ষপথে বসে এই রোবট স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহদের হাল হকিকত দেখবে। এই রোবট তৈরি করেছে বেজিংয়ের একটি বেসরকারি সংস্থা অরিজিন স্পেস। এই সংস্থার কর্ণধার ইউ তিয়ানহং বলেছেন, এই রোবটের কাজ অনেক। ইনটেলিজেন্স স্যাটেলাইটগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তার তদারকি করা। তাছাড়া পৃথিবীর অরবিটে যে সব কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে তাদের নজরে রাখা। মহাজাগতিক বস্তুদের নিয়ে গবেষণাও করবে এই রোবট। ইতিমধ্যেই মঙ্গলে রকেট পাঠিয়েছে চিন। হাইনান দ্বীপ থেকে লং মার্চ ৫ রকেটে চাপিয়ে ‘তিয়ানওয়েন ১’ মঙ্গলযানকে মহাকাশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ টন ওজনের মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছবে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে। লং মার্চ ৫ ওয়াই৪ কেরিয়ার চিনের সবচেয়ে বড় রকেট। তিয়ানওয়েন মিশনের জন্য এই রকেটকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। স্পেসক্রাফ্টের রকেট যাতে মঙ্গলের মাটিতে নিরাপদে ল্যান্ড করতে পারে তার জন্য সব ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। প্যারাশুট, রেট্রোরকেট, এয়ারব্যাগ রয়েছে ল্যান্ডারে। মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের পরেই কাজ শুরু করবে রোভার। এর সোলার প্যানেল সৌরশক্তিতে কাজ করবে। মঙ্গলের মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তথ্য পাঠাবে গ্রাউন্ড স্টেশনে। মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি সেই ২০১১ সাল থেকেই শুরু করে চিন। প্রথম মিশনের তোড়জোড় ছিল রাশিয়ার সঙ্গে। রাশিয়ার তৈরি স্পেসক্রাফ্ট ফোবোস-গ্রান্টে চাপিয়েই চিনের স্পেসক্রাফ্টকে মঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই মিশন ব্যর্থ হয়। এরপরে চিন নিজেই স্পেসক্রাফ্ট তৈরি করা শুরু করে দেয়। তিয়ানওয়েন-১ মিশনের জন্য স্পেসক্রাফ্ট বানিয়েছে ‘চিনা অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (CASC)। এই মিশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বেজিংয়ের ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সেন্টার (NSSC)