শেষ আপডেট: 25th February 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১টা ১৫ মিনিট। গ্বালিয়র এয়ার বেসে তখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রণসাজে সেজে উঠেছে ২০টি মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেট। রানওয়েতে আর কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করছেন তৎকালীন বায়ুসেনাপ্রধান বিএস ধানোয়া। এয়ার বেসে হাজির বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ কর্তারাও। মিশন-বালাকোটের শেষ মুহূর্তের খবর নিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। নিপুণ ছক, সময় একেবারে বাঁধা, প্রতিরোধ এলে কী করতে হবে তার প্ল্যানিংও তৈরি। সবটাই হয়েছে গোপনে, আসল প্ল্যান কী সেটা বায়ুসেনা অফিসারদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ছোটখাটো একটা যুদ্ধের যাওয়ার প্রস্তুতি যেন! বালাকোটের বর্ষপূর্তিতে দুর্ধর্ষ সেই প্রত্যাঘাতের ভেতরের খবর বাইরে আনলেন এয়ার মার্শাল চন্দ্রশেখরণ হরি কুমার।
ঠিক যেন ছাইচাপা আগুন, বলেছেন এয়ার মার্শাল হরি কুমার। বালাকোট অভিযানের নেপথ্যের অন্যতম মাথা। বালাকোট-মিশনের ছক, তার প্রস্তুতি— এই সবকিছুর পিছনেই রয়েছেন মাস্টারমাইন্ড এয়ার মার্শাল হরি কুমার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিনে রক্তাক্ত হয়েছে পুলওয়ামা। প্রাণ গেছে ৪০ জন সিআরপিএফের। তারপর থেকে প্রতিটা দিন, প্রতি সেকেন্ড একটু একটু করে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিয়েছে ভারত। স্থলপথে, জলপথে বা আকাশপথে—কীভাবে বদলা নেওয়া হবে তার প্ল্যানিং হয়েছে। এয়ার মার্শাল বলেছেন, শেষে ঠিক হয় এয়ার-স্ট্রাইকেই পাকিস্তানের বিষদাঁত ভেঙে দেবে বায়ুসেনা। তাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে ফিরে আসার রাস্তাও হবে অনেক সহজ। তারজন্য তৈরি করতে হয়েছে বায়ুসেনার দক্ষ পাইলটদের। পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হওয়া আধপোড়া জওয়ানদের শরীর, জ্বলে যাওয়া বাস-গাড়ির ছবি মনে করেই রক্ত গরম করে নিয়েছিলেন মিরাজের বায়ুসেনা পাইলটরা। প্রতিশোধ চাই! বড় ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ!
এয়ার মার্শাল চন্দ্রশেখরণ হরি কুমার
বায়ুসেনার ‘এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফ্ট—নেত্র