শেষ আপডেট: 6th December 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নকল হতে সাবধান—অতি পরিচিত এই বাক্যবন্ধটা এখন আপেক্ষিক। আমাদের সমাজে আসলে-নকলে গলাগলি সর্বক্ষণের। স্বঘোষিত সাধু, বাবা এবং সর্বোপরি বাপুদের নানা ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগে দেশজুড়ে বিভ্রান্তির বাতাবরণটা এতটাই বেড়ে উঠেছে যে, কে প্রকৃত ধার্মিক আর কেই বা অধার্মিক, সেই ভেদাভেদটা বড়ই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের মতো সেলিব্রিটি বাবারাও ধর্ষণের অভিযোগে জড়িয়েছেন। নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত আসারাম বাপুর কেচ্ছার আখ্যান লিখেও শেষ করা যাবে না। দক্ষিণের এক অভিনেত্রীকে নিয়ে নিত্যানন্দ পরমহংসের সেক্স ভিডিও তৈরির কেচ্ছা এখনও যথেষ্ট ‘হট টপিক’। হরিয়ানার পঞ্চকুলাতে বছর কয়েক আগে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত কবিরপন্থী বাবা রামপালের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধেছিল। পুরো একটি দিন পুলিশের সঙ্গে সমানে টক্কর দেয় রামপালের সমর্থকরা। হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চার যুবকের পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে সারা দেশে যখন তর্ক-বিতর্কের আগুন জ্বলছে, তখন স্বভাবতই এই প্রশ্ন উঠেছে ধর্ষণ ও যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্ত প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুরাই বা কঠিন শাস্তি থেকে বাদ পড়লেন কেন! ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ‘বাবা’ অথবা ‘বাপু’ অথবা ‘গডম্যান’রা বরাবরই খুব ক্ষমতাশালী। তাই কি তাঁদের শাস্তির প্রক্রিয়া এত বিলম্বিত? আসারাম-রাম রহিম-নারায়ণ-রামপাল থেকে নিত্যানন্দ—সাম্প্রতিককালের এমনই কিছু গডম্যানদের অধ্যাত্মিক মোড়কের আড়ালে কালো কুৎসিত মুখটা চলুন দেখেনি।