শেষ আপডেট: 26th December 2020 18:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ব্রিটেনে কোভিডের অতি সংক্রামক একটি স্ট্রেন দেখা দেওয়ার পরে ভারতে সতর্ক হয়েছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। ভারতে ওই স্ট্রেন দেখা দিলে কীভাবে তা চিহ্নিত করা যাবে এবং কোন পদ্ধতিতে তার সংক্রমণ রোখা যাবে, তা স্থির করার জন্য শনিবার বৈঠকে বসেন টাস্ক ফোর্সের কর্তারা। সেখানে স্থির হয়, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন চিহ্নিত করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাঁরা করোনা পজিটিভ হয়েছেন, তাঁদের পাঁচ শতাংশের স্যাম্পেল নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। ব্রিটেন থেকে গত এক মাসে যাঁরা ভারতে এসেছেন, আপাতত তাদের দেহ থেকে ৫০ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ছ'টি গবেষণাগারে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। শনিবার সকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ২৭৩ জন। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ হাজার। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষের কম। গত সেপ্টেম্বরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। এখনও পর্যন্ত সংক্রমণের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। তার ওপরে আছে আমেরিকা। ভারতে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩৪৩ জনের। শনিবার সকালে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মারা গিয়েছেন ২৫১ জন। ছ'মাসে এই প্রথম দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নেমেছে ৩০০-র নীচে। ভারতে জানুয়ারি থেকে কোভিডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতে পারে। শনিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কয়েক হাজার কর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে শীঘ্র। প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে কোথায় তিনি ভ্যাকসিন নেবেন। দিল্লির শীর্ষস্থানীয় পুলিশ অফিসার তথা কোভিড ১৯ অ্যাকশন প্ল্যানের নোডাল অফিসার মুক্তেশ চন্দ্র একথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, "২০২১ সালের ৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে পিআইএস সিস্টেম বা ইনট্রা ডিপি সিস্টেমে তাঁদের মোবাইল নম্বর জানাতে হবে। কারও নম্বর যদি পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তাও জানাতে হবে।" পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লি পুলিশের কর্মীদের যেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ তাঁদেরও মোবাইলে এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে কোথায় ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উপস্থিত হতে হবে। এখনও পর্যন্ত ভারতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে তিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই তিন কোম্পানির টিকাই তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে। বাকি প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করছে আরও কয়েকটি স্বদেশী ফার্ম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেই রেখেছেন, দেশের পাঁচ ভ্যাকসিনে ভরসা রাখা যায়। যার মধ্যে তিনটি যে কোনও সময় সবুজ সঙ্কেত পেতে পারে।