শেষ আপডেট: 19th January 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কে-৪ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই আন্ডার-সি ব্যালিস্টিক মিসাইল ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম শক্তি। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আইএনএস অরিহন্ত থেকে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে সে।
সমুদ্রগর্ভ থেকে নিক্ষেপযোগ্য যে সব মিসাইল ভারতের হাতে রয়েছে, তার মধ্যে কে-৪ সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার। উৎক্ষেপন স্থল থেকে ৩৫০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানার ক্ষমতা থাকায় এটি ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আইআরবিএম গোত্রে পড়ে। নির্মাতা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরেই কে-৪ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সাইক্লোন বুলবুল ও আবহাওয়ার পরিস্থিতির জন্য উৎক্ষেপণের দিন পিছিয়ে যায়।
বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে এই পরমাণু অস্ত্রবাহী মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষপণের জন্য পাঠানো হয়েছিল নৌসেনার দু’টি জাহাজ। আইএনএস অরিহন্তের একটি প্রতিকৃতি রাখা ছইল সমুদ্রের গভীরে। সেখান থেকেই ছোড়া হয় কে-৪ মিসাইল। নৌসেনা সূত্রে খবর, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পাল্লার লক্ষ্যবস্তু নির্ভুল নিশানায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই আন্ডার-সি ব্যালিস্টিক মিসাইল বানিয়েছে ডিআরডিও। দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। ওজন ১৭ টন (আপডেটেড ভার্সন ১৯ টন)। ২০০০ কিলোগ্রাম ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও জানিয়েছে, কে-৪ মিসাইলের রেঞ্জ অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অর্থাৎ অরিহন্ত-ক্লাস সাবমেরিনের জন্যই বিশেষভাবে বানানো হয়েছে কে-৪ কে। এর নিশানা থেকে রেহাই মেলা প্রায় অসম্ভব। ডিআরডিও জানিয়েছেন, হাইপারসনিক স্পিড ও সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা থেকে কোনওভাবেই রেহাই পাবে না শত্রুপক্ষের যে কোনও সামরিক অস্ত্র।