শেষ আপডেট: 23 February 2023 06:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সীমান্ত বিরোধের মীমাংসায় কাছাকাছি এল ভারত ও চিন (India and China)। দুই দেশই সীমান্ত ঘিরে তৈরি সম্পর্কের জটিলতার (border dispute) বরফ গলাতে (resolving) রাজি হয়েছে। বেশ কয়েক বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে সদ্য বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং মেকানিজম কমিটির বৈঠক।
এই কমিটির মুখোমুখি বৈঠক শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯-এর জুলাইয়ে। পরের বছর থেকেই পূর্ব লাদাখে শুরু হয় সীমান্ত সংঘাত। দু-দেশের সেনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে বেশ কয়েকবার। সেই পর্বে নিয়মিত বৈঠকে বসে এই কমিটি। তবে এমন ১১টি বৈঠকই হয়েছে সবই ভিডিও-কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
এবারের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সেলের যুগ্ম সচিব শিল্পক আম্বুলে। তিনি একই সঙ্গে জাপান এবং দুই কোরিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কূটনীতিক। চিনের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমানা ও মহাসাগর বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক।
বেজিংয়ের বৈঠকে ভারতের তরফে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আম্বুলের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ম্যান্ডারিন ভাষায় সাবলীল। দিল্লির এই কূটনীতিক চিনের নেতা হু জিনতাও, ওয়েন জিয়াবাও, লি কেকিয়াং এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং নরেন্দ্র মোদীর অফিসিয়াল দোভাষী হিসাবে কাজ করেছেন। এছাড়া বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসে একজন কূটনীতিক হিসাবে কাজ করেছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের অফিসে চিফ অফ স্টাফ হিসাবেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সদ্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে বরফ কি গলেছে? সরকারি মহলের বক্তব্য, তাৎক্ষণিক অগ্রগতি হয়নি। উভয় পক্ষই তাদের ঘোষিত অবস্থান বজায় রেখেছে।
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই পক্ষ সীমান্ত এলাকার পশ্চিম সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আধারে এরপর সেনার সিনিয়র কমান্ডারদের পরবর্তী বৈঠকের ব্যাপারে দু’পক্ষই সম্মত হয়েছে।
দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সুবাদে এ বছর চিনের প্রেসিডেন্টের নয়াদিল্লি সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই দেশই মনে করে, সীমান্ত বিরোধ এমন পর্যায়ে যায়নি যা চিনের প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনার জন্য উঠতে পারে।
গত নভেম্বরে বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছিল। কয়েক মিনিট কথা হয় দু’জনের। তার আগে গত বছর মার্চে চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ভারত সফরে এসেছিলেন। জি-২০ এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য হওয়ায় চিনের প্রেসিডেন্টেরও এ বছর ভারতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্মেলন দুটি যথাক্রমে জুলাই এবং সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে।
শিশুর চিকিৎসায় ১১ কোটি, পরিচয় জানাতে নারাজ দাতা, মুঠোয় ১৮ কোটির ইঞ্জেকশন