ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 10 May 2025 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে (Child Marriage) স্কুল ছাত্রীদের জন্য একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্যের। এছাড়াও প্রশাসনের তরফে সচেতনতার প্রচার করা হয়। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায় (South 24 Parganas) বাল্য বিবাহের সংখ্যা কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও।
সম্প্রতি প্রশাসনিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০২৩-’২৪ সালে যেখানেএই স্বাস্থ্য জেলায় কিশোরী গর্ভবতীর (Teenage Pregnancies) সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ হাজার,এবারে সেই সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। পরিসংখ্যানের দিক থেকে দেড় হাজার কম, যা আদতে সাফল্য বলে মনে হলেও বিষয়টি স্বস্তিজনক নয় বলেই মত প্রশাসনের।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার মধ্যে ক্যানিং মহকুমায় বাল্য বিবাহের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বাসন্তী, জয়নগর ও কুলতলিতেও এই প্রবণতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বর্ধমান, বীরভূম ম়ডেল ফলো করা হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশাসনিকস্তরে চর্চা শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক ডাঃ মুক্তিসাধন মাইতি বলেন, "গতবারের তুলনায় এবারে জেলায় গর্ভবতী কিশোরীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক শিবিরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।"
বর্ধমান, বীরভূম মডেল কি?
প্রশাসন সূত্রের খবর, নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছিল। তখনই প্রশাসনের তরফে এলাকার কিছু শিক্ষক, সাধারণ মানুষের নম্বর নেওয়া হয়েছিল। খবর জানানোর জন্য তাঁদের দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনিক নম্বরও। কীভাবে 'গোয়েন্দাগিরি' করতে হবে, তা আগ্রহী মানুষকে পরে হাতে কলমে বোঝানোও হয়েছিল।
তার ফল স্বরূপ, কোথাও সানাইয়ের সুর কানে এলেই সঙ্গে সঙ্গে খবর যাচ্ছিল প্রশাসনের কাছে। ফলে জেলায় বাল্যবিবাহ অনেকখানি রোধ করা গিয়েছে। গোয়েন্দার কাজে স্থানীয়দের কাজে লাগিয়ে সুফলও পেয়েছে সংশ্লিষ্ট দুটি জেলার প্রশাসন। সূত্রের খবর, একই পথে হাঁটতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা স্বাস্থ্য জেলাও।
তবে প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, "আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তা না হলে এই প্রবণতা বন্ধ করা দুরূহ।"