শেষ আপডেট: 6th September 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উর্দিটাই নেই শুধু। আসলে তাঁরাও ভারতেরই সেনা। দেশসেবার ব্রত নিয়ে বিপদকে তুচ্ছ করেছেন। প্রাণের তোয়াক্কা নেই কারও। তরুণ থেকে বৃদ্ধ, সন্ন্যাসী থেকে মহিলা, চুসুল গ্রামের প্রতিজনই দেশের জওয়ানদের সেবা করে চলেছে সকাল থেকে রাত। নিঃস্বার্থ ভাবে, নিশ্চুপে।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, প্যাঙ্গং রেঞ্জের কালা পাহাড়, হেলমেট, ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ নম্বর পাহাড়ি খাঁজ এখন স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে। চুসুল, মলডো, থাকুং এলাকায় ভারতীয় সেনা জওয়ানরা টহল দিচ্ছেন। এইসব পাহাড়ি এলাকা যেমন দুর্গম তেমনি এখানে প্রতি মুহূর্তে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। খাবার, জলের সমস্যা তুচ্ছ করেই অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারায় রয়েছেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেই পাহাড় বেয়ে উঠছেন গ্রামবাসীরা। চুসুল গ্রামের প্রায় ঘর থেকেই দু’বেলা খাবার, জল পৌঁছে যাচ্ছে জওয়ানদের কাছে। পরম মমতায় পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরের মা, বোনেরাও। লাদাখের অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের একজিকিউটিভ কাউন্সিলর কোঞ্চক স্ট্যানজিন বলেছেন, চুসুলের কাছে এখন চিনের বাহিনীর দিকে তাক করে বসে আছে ভারতের ট্যাঙ্কবাহিনী। চুসুল থেকে কিছু দূরে দক্ষিণ প্যাঙ্গং হ্রদের কাছে কালা টপের উপর অস্ত্র নিয়ে বসে আসে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের জওয়ানরা। এই পাহাড়ি এলাকায় খাবার বা অন্যান্য রসদ মেলা এক কথায় অসম্ভব। আর যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে খাবার বয়ে নিয়ে গিয়ে মজুত রাখা সম্ভব নয়। কারণ কালা পাহাড়ের নীচেই নিজেদের যুদ্ধট্যাঙ্ক নিয়ে এগোচ্ছে লাল ফৌজ। প্রতি মুহূর্তের সতর্কতা দরকার। এমন সময় নাওয়া, খাওয়া ভুলেই ভারতের জওয়ানরা সীমান্ত আগলে বসে আছেন। দেশের সুরক্ষার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে সেই বীর জওয়ানদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।