শেষ আপডেট: 5th March 2025 19:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আক্রান্ত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ওই ঘটনায় রাজ্যের গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে এদিনই বড় প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাদা পোশাকের পুলিশ কেন ছিল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি।
যাদবপুরের ঘটনাকে সামনে রেখে শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ঢোকানো নিয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে একাধিক মত উঠে আসছে। এ ব্যাপারে বুধবার সন্ধেয় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর কথায়, "ছাত্ররা অধ্যাপকদের মারলে নিশ্চয়ই পুলিশ ডাকা যাবে। পরবর্তীকালে নিশ্চয়ই এরকম কিছু হবে।"
একই সঙ্গে ব্রাত্য এও বলেন, "আমার মনে হয়েছিল, তাই যাদবপুরে পুলিশ নিয়ে যাইনি। ঘটনার পর সেদিন আমাকে অনেকে আহত ছাত্রদের নামে এফআইআর করার জন্য চাপ দিয়েছিল। এমনকী আমার সংগঠনও বলেছিল। কিন্তু আমি একটি এফআইআরও করিনি।"
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ঢোকানোর ক্ষেত্রে তিনি নিজে বিরোধী হলেও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে পুলিশ ঢোকানোরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ওয়েবকুপার সম্মেলনকে ঘিরে শনিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যাদবপুরে। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শিক্ষামন্ত্রীকেও। ঘটনার পর থেকেই অসুস্থ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এদিন সন্ধেয় তাঁকে দেখতে ওই হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই এই তাৎপর্য়পূর্ণ মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে ছাত্রদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার, শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রানের অভিযোগ এনে বিভাগীয় তদন্ত-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে বসেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। এদিন বিকেল চারটের মধ্যে উপাচার্য বৈঠকে না বসলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে উপাচার্য অসুস্থ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আধিকারিকরা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেখান থেকে সমাধান সূত্র বের হয় কিনা, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলে।
তবে বামপন্থী ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, "সেদিন যাদবপুরে কী হয়েছিল, তা সবাই দেখেছে। একটি রাজনৈতিক দল, যারা শূন্য থেকে মহাশূন্যের দিকে যাচ্ছে। এরা বাদে বাকি সবাই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।"
এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "যাদবপুর কোনও নিষিদ্ধ এলাকা নয়, এটা কোনও মুক্তাঞ্চল নয়, অবরুদ্ধ দুর্গ নয়।যেকোনও লোক যেতে পারে। ওনাদের রাজনৈতিক মতও থাকবে, অন্য রাজনৈতিক মতও থাকুক। অন্য রাজনৈতিক মত এলেই বল্লম ছুড়ে মারব, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনি নিয়ে ধাওয়া করব এটা কোনও রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না।"