শেষ আপডেট: 17th December 2021 10:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফরাসি (france) (defence minister) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে (florence parley)ভারত (india) চাইলে তাঁর দেশ আরও রাফাল (rafale) যুদ্ধবিমান সরবরাহে প্রস্তুত বলে জানালেন। রাফাল ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে মাঝেমধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। রাফাল ডিলে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি, নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটেই ভারতকে আরও রাফাল যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন ফরাসি মন্ত্রী। ভারত, ফ্রান্সের গভীর কৌশলগত সম্পর্কের (relations) উল্লেখ করেন তিনি। পার্লে বলেন, ভারতের যে কোনও বাড়তি চাহিদা বা সাহায্য়ের আবেদনের মোকাবিলায় সাড়া দিতে তৈরি ফ্রান্স। আমরা জানি, শীঘ্রই একটি এয়ারক্র্যাফট বাহক সরবরাহ করা হবে ভারতকে। এয়ারক্র্যাফটের দরকার আছে। তাই আমাদের দরজা খোলা এবং ভারত যদি সিদ্ধান্ত নেয়,তবে আরও যে কোনও রাফাল বিমান সরবরাহে আমরা প্রস্তুত। ভারতীয় নৌবাহিনী শীঘ্রই দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার আইএনএস বিক্রান্তের ডেলিভারি পেতে চলেছে এবং সেজন্য আরও যুদ্ধবিমান লাগবে বলে জানান পার্লে। ভারতীয় নৌবাহিনীর ৫৭টি যুদ্ধবিমান লাগবে তার দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ারের জন্য। দাবিদারদের মধ্যে আছে রাফাল যুদ্ধবিমান। উভয় দেশের একই এয়ারক্র্যাফট থাকা দুপক্ষের কাছেই সম্পদ এবং ভারতের অস্ত্রভান্ডারে এই এয়ারক্র্যাফটের পারফরম্যান্সেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ২০১৬ সালে ভারত, ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুসারে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান সামিল হওয়ার কথা। ৩০টির বেশি রাফাল ইতিমধ্যে চলে এসেছে। বাকিগুলি চলতি অর্থবর্ষের শেষেই চলে আসবে বলে খবর। চিনের সঙ্গে চলতি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দ্রুত সীমান্ত বরাবর ফরাসি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ভারত। ভারত, ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বার্ষিক আলোচনায় যোগ দিতে নয়াদিল্লি সফরে আসা পার্লে দক্ষিণ চিন সমুদ্র সহ গোটা উপমহাদেশে আগ্রাসী মানসিকতা দেখানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলেন চিনকে। দক্ষিণ চিন সমুদ্রে পড়শী দেশগুলির নৌ চলাচলে চিন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। পার্লে জানান, ইউরোপ ও ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য ও অন্য নানা বিষয়ে চিন বড় শরিক বটে, কিন্তু দক্ষিণ চিন সমুদ্রে দাদাগিরি দেখাচ্ছে চিন। এই অঞ্চলে দিনদিন চিনের আগ্রাসী মেজাজ বাড়ছে। আর দক্ষিণ চিন সমুদ্রে তারা যেন বেশি আগ্রাসী। নৌবহর অবাধে চলাচলের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্য়ুতে ফ্রান্স, ভারতের অবস্থান একই। ফ্রান্স নিশ্চিত করতে চায় যে, নৌবহর অবাধ যাতায়াতের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন থাকবে।