তমলুকের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 14th August 2024 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদে থাকলে আরজিকর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে আরজিকর পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি। সেখানেই একথা বলেন তমলুকের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নেই, অথচ অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নেমে পড়েছেন তথ্য লোপাটের কাজে। আজ যদি আমি বিচারপতি হিসেবে চেয়ারে থাকতাম মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতাম!"
রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিও জানিয়েছেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। এ ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছেও আর্জি রেখেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। অভিজিতের কথায়, "৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি করছি। রাজ্যপালকে বলছি, এই মর্মে রিপোর্ট পাঠাতে।"
বাংলার নারীরা কতটা অসহায় তা বোঝাতে গিয়ে অভিজিত এও বলেন, "হাসপাতালের মধ্ে এই রাজ্যে ডিউটিরত ডাক্তারি ছাত্রীকে রেপ করে খুন করা হল। একবার ভাবুন, মৃত্যুর আগে মেয়েটির মধ্যে কী ধরনের অসহায়তা কাজ করেছে।"
আরজিকর কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, "এই যে ছেলেটিকে ধরা হয়েছে, তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা উচিত ছিল। দেহে কামড়, আঁচড়ের দাগ আছে কিনা, সেটা এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি ছিল। অথচ প্রমাণ লোপাটের জন্য পুলিশ সে সব করেনি। ফলে মামলাটি কোর্টে উঠলে অভিযুক্তর উকিল তো বলবে, ধর্ষণে প্রতিরোধ হিসেবে আঁচড়, কামড়ের দাগ থাকে। এর গায়ে তো সেরকম কোনও দাগ নেই। তাহলে বুঝতেই পারছেন, পুলিশ দিয়ে কীভাবে মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।"
এরপরই অভিজিৎ অভিযোগ করেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই কাজ করেছে পুলিশ। তাই অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত।"