শেষ আপডেট: 12th January 2024 14:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: জামালপুরে বৃহস্পতিবার জেলা বইমেলার উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেখানেই তিনি প্রশ্ন তুললেন, সবাইকে চাকরি করতে হবে এর কোনও মানে আছে? সবাই চাকরি করলে খেত মজুরি করবে কে, অন্য কাজ করবে কে?
চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বাম জমানায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারিত করা হয়েছে। আমাদের সরকার চাকরি দিয়েছে। প্রতারিত করেনি। তাই সকলের চাকরি পাওয়ার লোভ হয়েছে। ভাবটা এমন, সবাই চাকরি পাচ্ছে, আমরাও চাকরি পাব। তার আগে লাইনে দাঁড়ান তবেই তো চাকরির টিকিট মিলবে।” কিন্তু কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “এ রাজ্যে যারা প্রকৃত চাকরির দাবিদার তাদের চাকরিগুলি তৃণমূল কংগ্রেস চুরি করেছে। যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেয়নি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে এই বলে যে কেন্দ্র নাকি চাকরি দিচ্ছে না। অথচ তৃণমূলের মন্ত্রী বলছেন সবার চাকরির দরকার নেই। সবাই চাকরি করলে খেত মজুরি কে করবে! ওঁরা আগে নিজেদের স্ট্যান্ড ঠিক করুন যে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন কী ভাবে হবে।” সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে গুরুত্বহীন মন্ত্রী বলেও কটাক্ষ করেন এই বিজেপি নেতা।
বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কাছে নতুন নয়। ২০২১ সালে করোনা কালে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে বলতে শোনা গিয়েছিল “কোভিডে শিক্ষকরা বাড়ি বসে মাইনে পেয়েছেন। এর পর ছাত্র গড়ার দায়িত্ব কার?” সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “শিক্ষকরা ক্লাসে দাঁড়িয়ে গল্প করে, মোবাইলে কথা বলেই অর্ধেক সময় কাটিয়ে দেন। এটা খুব দুঃখের ও বেদনার।” সেই কথাতেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে।