শেষ আপডেট: 3rd January 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিগ-২১ বাইসন জেট নিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পুরনো মিগ উড়িয়েই ধরাশায়ী করেছিলেন আধুনিক এফ-১৬ ফাইটার জেটকে। ভারত-পাক আকাশযুদ্ধের সেদিন যদি মিগের বদলে রাফালের ককপিটে থাকতেন অভিনন্দন তাহলে কী হত? গোটা পরিস্থিতিই নাকি অন্যরকম হত। পাক সেনার হাতে ধরা পড়তে হত না অভিনন্দনকে, এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধান বি এস ধানোয়া। আইআইটি বম্বের টেকফেস্টে আমন্ত্রিত প্রাক্তন বায়ুসেনাপ্রধানের কথায়, রাফাল চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ক্লিনচিট দিয়ে দেওয়া, সুপ্রিম কোর্টের সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “আমি কোনও রাজনৈতিক বিতর্কে যাচ্ছি না। শুধু এটুকু বলতে পারি, দেশের প্রতিরক্ষাকে মজবুত করতে রাফালের প্রয়োজন অনেক আগেই ছিল। নানা বিতর্কে জড়িয়ে রাফাল হাতে পেতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল।” এই প্রসঙ্গে বালাকোট পরবর্তী ভারত-পাক আকাশযুদ্ধের কথা টেনে এনে ধানোয়া বলেন, সেদিন যদি বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন রাফাল ওড়াতেন তাহলে পরিস্থিতি আজ অন্যরকম হত। আধুনিক মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট রাফালের শক্তি মিগের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ক্ষিপ্রতাতেও প্রবল। নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে শত্রুপক্ষের উপর। ধানোয়ার দকথায়, রাফাল কেনার ব্যাপারে ১০ বছরের এই বিলম্ব না হলে, মিগের বদলে রাফালের ককপিটেই থাকতেন অভিনন্দন। বিস্তর বিতর্ক পিছনে ফেলে অক্টোবরে ভারতের হাতে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান তুলে দিয়েছে নির্মাতা সংস্থা ‘দাসো অ্যাভিয়েশন।’ নতুন মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট রাফালকে বেছে নেওয়ার পরে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। মোট ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। প্রথম রাফাল ভারতের হাতে এসে গেছে, এই বছর মে মাসের মধ্যে আরও চারটি রাফাল বায়ুসেনার হাতে আসার কথা রয়েছে।