শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ।
শেষ আপডেট: 18th March 2025 16:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাংদোলা মন্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
একই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক হুমায়ূন কবীরদের বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "এই ধরনের রাজনীতি রাজনীতির বিষয় নয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি হোক। সেটাই কাম্য।"
অতীতে খড়গপুর সদরের বিধায়ক ছিলেন দিলীপ। সেই সূত্রে এদিন বিধানসভায় পুরনো সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। সন্দেশ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতার ঘরে। সেখানে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলাপ আলোচনার পর বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ। সেখানেই তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাংদোলা মন্তব্যকে তিনি সমর্থন করেন না।
বস্তুত, গত মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, ''এরা (তৃণমূল) বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। তাই আগামী বছর বাংলার ক্ষমতায় আসার পর ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!''
তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দলের শাস্তির কোপে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অবশ্য শাসকদলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, "যে ধরনের হাওয়া গরম করার চেষ্টা হচ্ছে বা সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এখানকার মেয়র বলছেন ধর্মান্তরিত করে মুসলমান করতে হবে বা একজন এমএলএ যদি বলেন হিন্দুদের গঙ্গার জলে ফেলে দিতে হবে তাহলে প্রতিক্রিয়া তো হবেই। তবে কোনওটাই আকাঙ্খিত নয়। কোনওটাই আমি সমর্থন করি না গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতি হোক। এটা আমরা চাই।"
দিলীপ এও বলেন, এখানে যে সরকার আছে তাতের তরফেই শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ শুভেন্দুর বক্তব্যের বিরোধিতা করলেও দিলীপ বোঝাতে চেয়েছেন, শাসকদলের বিধায়কদেরও মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সংযত থাকা দরকার। তাঁরাই পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করছে।