শেষ আপডেট: 12th March 2025 12:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার বিধানসভার (Bidhansabha) বাইরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু বিধায়কদের প্রত্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর তাদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলবেন! বুধবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পাল্টা দিলেন শাসক দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তাঁর জবাব, 'আমরা রসগোল্লা খাওয়াবো না'।
তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, ''এরা (তৃণমূল) বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হবে। ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!'' বুধবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে তারই প্রতিক্রিয়া দিলেন হুমায়ুন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল বিধায়ক। বলেন, ''উনি যদি মারতে আসেন তাহলে আমরা কি রসগোল্লা খাওয়াবো নাকি? মুসলিম বিধায়কদের তিনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, আর তাঁকে রসগোল্লা খাওয়াবো না। যা জবাব দেওয়ার তাই দেওয়া হবে। উনি আছাড় মারার কথা বলেছেন, আমি ঠুসে দেব।'' এই মন্তব্য করে বিজেপি বিধায়ককে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন। বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে এবং মুসলিম বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চাইলে তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে তিনি আদতে কত বড় নেতা হয়েছেন। শুভেন্দুকে ৪২ জন মুসলিম বিধায়কদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে কী করবেন হুমায়ুন কবীর? তিনি স্পষ্ট জানান, সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে বিধানসভায় তাঁর ঘরের সামনে ৪২ জন সংখ্যালঘু বিধায়ক তাঁকে 'বুঝে নেবেন'! আর আপাতত মুর্শিদাবাদে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢুকতে চাইলে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের কত ক্ষমতা! হুমায়ুন বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারী শুধু মেদিনীপুর বা কলকাতার বিরোধী দলনেতা নন, গোটা রাজ্যের। তিনি কত বড় মাতব্বর হয়েছেন দেখে নেবে। মুর্শিদাবাদে তাঁকে ঢুকতে দেব না।'' এই প্রসঙ্গে অতীতের কথাও মনে করান শাসক দলের বিধায়ক। ২০১৬ সালে কী হয়েছিল, সেটাই ফের মনে করিয়ে দেন সাংবাদিকদের।
হুমায়ুনের কথায়, তৃণমূলের সাংসদ এবং জেলা পর্যবেক্ষক হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীকে মু্র্শিদাবাদে ঢুকতে দেননি তিনি। রেজিনগরে বক্তৃতাই করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। বিধায়ক বলেন, ''চোরের মতো পালিয়ে গেছিলেন শুভেন্দু। কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউস থেকে দিদিকে বলেছিলেন আমাকে টিকিট না দিতে। পরে আমাকে টিকিট দেওয়া হয়ওনি।'' পরবর্তী সময়ে ভোটের ফল কী হয়েছিল তা সকলের জানা, অবগত করেন হুমায়ুন।