শেষ আপডেট: 15th April 2025 22:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়াকফ ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত ছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Incident)। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চলেছে পুলিশ-বিএসএফের টহল।
তবে যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে জেলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তাতে যারপরনাই হতাশ এবং ক্ষুব্ধ ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। শাসক-বিরোধী সকলকে মিলে এলাকায় শান্তি ফেরানোর আর্জি জানানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনায় দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক।
হুমায়ুনের কথায়, যে এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটল, সেই সামশেরগঞ্জ, ফরাক্কা এবং সাগরদিঘির বিধায়করা স্থানীয়। এমনকী লোকসভার সাংসদ খলিলুর রহমান জেলা পরিষদের সভাপতিও। হুমায়ুন বলেন, "দলের এতজন জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হিংসার ঘটনা ঘটল। পরিস্থিতির জন্য তো জেলাবাসী হিসেবে আমাদেরকেই রাজ্যের কাছে ছোট হতে হল। এটা ভাল লাগছে না।"
আপনি কি জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? বরাবরই সরাসরি 'হ্যাঁ' বা 'না' তে জবাব দিতে অভ্যস্ত হুমায়ুন অবশ্য এক্ষেত্রে সাবধানী, "একে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ। অত ব্যাখ্যায় যাব না!"
সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দু' দু'বার শোকজ হয়েছেন হুমায়ুন। দলের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, তিনবার শোকজ হওয়ার অর্থ সাসপেন্ড। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সেকারণেই কিছুটা সাবধানী হয়ে মন্তব্য করেছেন হুমায়ুন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরাসরি না বললেও আকার ইঙ্গিতে হুমায়ুন বোঝাতে চেয়েছেন যে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের হাতে এলাকার রাশ নেই। থাকলে এভাবে অশান্তি ভয়াবহ আকার নিতে পারতো না।
এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন এও বলেন, "সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মুর্শিদাবাদের প্রশংসা করা হত। সেই সুনাম কীভাবে নষ্ট হল, কারা দায়ী, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।"