শেষ আপডেট: 7th December 2024 11:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ক'দিন আগেই মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করেছিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। প্রকাশ্যে ঘটা করে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই ফের পুরনো ছবি। ফের বিতর্কে হুমায়ুন। এবার ফেরিঘাটের দখল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে ভরতপুরের বিধায়কের নাম। প্রকাশ্যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিষেদাগারও উগড়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে হুমায়ুন আবার শো-কজের মুখে পড়েন কিনা, তা নিয়ে দলের মধ্যে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের ফেরিঘাটের দখল নিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং দলের ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমর্থনকারীদের মধ্যে গোলমাল নতুন কোনও ঘটনা নয়। শুক্রবার সালার ব্লকের একাধিক ফেরিঘাটের লিজ বণ্টন করছিল প্রশাসন। হুমায়ুন এবং মুস্তাফিজুরের অনুগামীরা আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
টেঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ফেরিঘাটের কর্তৃত্বের দখল নিয়ে গোলমাল শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান হুমায়ুন। এরপরই ব্লক অফিসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। গভীর রাত পর্যন্ত গোলমাল চলে। পরিস্থিতি সামলাতে পার্শ্ববর্তী দুটি থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়।
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমানসেও তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে, কাটমানির প্রসঙ্গ টেনে আনছে। এ ব্যাপারে দলেরই জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারের মদতে গোলমাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে হুমায়ুন বলেন, "ফেরিঘাট থেকে অর্থ লুট করতে চায় দলের একাংশ। আমি তার প্রতিবাদ করেছি।" তবে এব্যাপারে অপূর্ব সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 'প্রশাসনিক বিষয়' বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে একাধিক দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল হুমায়ুনের বিরুদ্ধে। পরে দলনেত্রীর রণংদেহী মূর্তির পর প্রকাশ্যে নিজের ভুল স্বীকার করে হুমায়ুন বলেছিলেন, "এভাবে প্রকাশ্যে দলের সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। সোমবারের বৈঠকে নেত্রী আমাকে গাইড করেছেন। এখন থেকে ওনার কথা শুনেই চলব! এই ভুল আর হবে না