শেষ আপডেট: 11th November 2024 12:30
দ্য ওয়ালা ব্যুরো, হুগলি: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রার খ্যাতি দেশজোড়া। প্রতিবারই বিসর্জনে থাকে অভিনবত্ব। নিয়ম অনুযায়ী, দশমীর সন্ধ্যায় শুরু হয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা। তবে সেই শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়া এমন প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেওয়া শুরু হয় দশমীর সকাল থেকে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা বরণের পর চলে সিঁদুর খেলা। তারপর বাজনা সহকারে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা।
চন্দননগর রেল স্টেশনের পশ্চিম দিকে বেশ কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে গঙ্গা হওয়ায় পশ্চিম দিকের ওই প্রতিমাগুলিকে বিসর্জন দিতে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ প্রতিমার আকৃতি বিরাট হওয়ায় চন্দননগর স্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে তা নিয়ে যাওয়া যায় না। রেললাইন পার করেই পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আনা হয় প্রতিমা।
এ বার ৪২ বছরে পা দিল চন্দননগরের সুভাষপল্লি উত্তরপাড়ার পুজো। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ ওই বারোয়ারি পুজো কমিটির সদস্যরা বাঁশের খাঁচায় দড়ি বেঁধে প্রতিমা কাঁধে তুলে রেললাইন ধরে বেশ খানিকটা হেঁটে যান। এরপর রেললাইন পেরিয়ে পূর্ব পারে নিয়ে গিয়ে তা তোলা হয় লরিতে। এই সময়ের জন্য হাওড়া বর্ধমান মেন শাখা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রেললাইন পার করে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিয়ে যাওয়া দেখতে ভিড় জমে যায় চন্দননগর স্টেশনে।
শেওড়াফুলি জিআরপি থানার ওসি প্রদ্যুৎ ঘোষকে দেখা যায় হাতে মাইক নিয়ে উৎসাহী লোকজনদের সতর্ক করছেন।রেল লাইন থেকে দূরে থাকতে বলছেন। প্রতিমা রেল লাইন পেরোনোর সময় আপ লাইনে একটি লোকাল এসে চন্দননগর স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিমা রেল লাইন পার হওয়ার পর ধীরে ধীরে ছাড়ে ট্রেন। যাত্রীদের দেখা যায় সেই ছবি মোবাইল বন্দি করতে।