শেষ আপডেট: 10th September 2024 17:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: হুগলির কোন্নগরের পর হরিপাল। সরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পোস্ট করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে। মৃতের নাম সদানন্দ পাল (৬৩)। বাড়ি হরিপালের নালিকুল কৃষ্ণবাটি গ্রামে।
১৮ অগস্ট বাইকের ধাক্কায় জখম হন ওই বৃদ্ধ। ২৯ তারিখে মারা যান বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। মঙ্গলবার বাড়িতে তাঁর শ্রাদ্ধের কাজ চলছে। মৃতের পুত্র সৌমেন পাল জানান, গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন তাঁর বাবা। প্রথমে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। চুঁচুড়া হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করার পর কল্যাণী এইমসে রেফার করা হয়। কল্যাণী এইমসে জরুরি ভিত্তিতে নিউরো সার্জারি বিভাগ চালু না থাকায় সেখানেও ভর্তি করা যায়নি। কল্যাণীতে আরও একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও নিউরো সার্জারি না হওয়ার ভর্তি নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, "এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে বলা হয় ওপিডিতে দেখিয়ে ভর্তি করতে হবে। নিউরো সার্জারি এমারজেন্সিতে হয় না। তাও সপ্তাহে দুদিন সেই পরিষেবা পাওয়া যায়। ততক্ষণে বাবার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের কথায় তখন বারাসতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করি। সেখানে অপারেশনের পর ১১ দিন ধরে আইসিইউ তে ভর্তি রাখা হয়। প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। স্বাস্থ্যসাথীতে অল্প কিছু টাকা পাই। ২৯ শে আগস্ট বাবার মৃত্যু হয়। আন্দোলনের দরকার আছে তবে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আন্দোলন হোক।"
তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবরটি পোস্ট করা হয়। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে রাজ্য। অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশের পরেও দাবি না মানা হলে কাজ নয়, এমন সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। দাবি আদায়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ ব্যরিকেড করায় এখন স্বাস্থ্যভবনের অদূরে অবস্থান করছেন তাঁরা।