শেষ আপডেট: 6th November 2024 16:43
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: এক কোটি মানুষ বিজেপির সদস্য হলে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে মনে করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাই দলের সদস্য বাড়াতে এবার অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারকে হাতিয়ার করলেন তিনি।
বুধবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমা দর্শনে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "এক কোটি মানুষ বিজেপির সদস্য হলে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আর বিজেপি না এলে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার হবে না। বিজেপি না এলে ওই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাজার বারোশো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারের তিন হাজার টাকা পাওয়া যাবে না। অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার পেতে গেলে বিজেপির ফর্ম ফিলাপ করুন।"
অন্নপূর্ণা ভাণ্ডারকে হাতিয়ার করে সুকান্তবাবু সদস্য টানার চেষ্টা করছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, রাজ্যের মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টানতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ বিজেপির নীতি আদর্শে
আকৃষ্ট নন রাজ্যে মানুষ।
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এদিন রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়েও সরব হন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, "নারী নির্যাতনের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। আগামী দিনেও ঘটবে। কারণ অ্যাপ্রোচ নিয়ে সমস্যা আছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ধর্ষিতার পরিবারকে বাড়িতে ডাকেন, নবান্নে ডাকেন, চেক দেন ও নাইট গার্ড হোম গার্ডের চাকরি দেন।এভাবে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। যেদিন ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে সেদিন ধর্ষণ বন্ধ হবে।"
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বড় সমস্যা তৈরি করেছেন বলে মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, "অধিকাংশ সিভিক ভলেন্টিয়ার গরিব বাড়ির ছেলে। তারা জানে না তাদের কী করা উচিত কী করা উচিত নয়। রাজ্য সরকারের কোনও নির্দিষ্ট নিয়মাবলী নেই। অদ্ভুত একটা স্ট্রাকচার তৈরি করেছেন যার ফলে সিভিক ভলেন্টিয়াররা সাধারণ মানুষের কাছে ভিলেন হয়ে যাচ্ছে। একের পর এক অনৈতিক কাজ করানো হচ্ছে তাদের দিয়ে।"