শেষ আপডেট: 22nd July 2024 12:11
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, হুগলি: প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জের। সকাল থেকে হিমঘর খোলা থাকলেও আলু বের হচ্ছে না। তাই আলুর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিল।
হিমঘর থেকে শনিবার যে আলু বের করা হয়েছিল বাজারে তা প্রায় শেষের দিকে। হিমঘর থেকে আলু বের না হলে সোমবার থেকেই বাজারে যোগান কমবে। অর্থাৎ এদিন থেকেই বেশিরভাগ বাজারে দেখা মিলবে না আলু। যেটুকু মজুত আছে তার দাম বাড়বে। বলছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখার্জি জানান, উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজার আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন। ২০১৪ সালে এরকম পরিস্থিতি একবার হয়েছিল, ভিনরাজ্যে আলু যাওয়া আটকানো হয়েছিল। তবে এবারে নির্দেশ নেই, কিন্তু রাজ্যের সীমানাগুলোতে পুলিশ হয়রানি করছে। সেই হয়রানির প্রতিবাদেই এই কর্মবিরতি।
তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বাইরে আলু পাঠাতে বারণ করেননি। উনি নজরদারি করতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর থেকে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। তারপরও যদি বাইরে আলু যাওয়া আটকানো হয়, তাহলে ব্যবসা করব কী করে! বেশ কিছু ধরণের আলু আছে যেগুলো বাইরের রাজ্যে বিক্রি হয়। এ রাজ্যে হয় না। সেই কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা কর্মবিরতি করতে বাধ্য হয়েছি। হিমঘরের ভাড়া নিয়ে এর আগে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল সেটা কৃষি বিপণন মন্ত্রী কথা বলতে চাওয়ায় আমরা তুলে নিয়েছিলাম।"
কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বাড়ির অদূরেই রতনপুর আলুর মকাম। তাই সেখানে কর্মবিরতির প্রভাব নেই।
সিঙ্গুর রতনপুর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক প্রহ্লাদ মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি যে ইস্যুতে কর্মবিরতি ডেকেছে তাকে তাঁরা সমর্থন করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাজার খোলা রেখেছেন। তিনি বলেন, "যোগান কমে গেলে আলুর দাম আগুন হয়ে যাবে। সরকারের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করা এবং যে ট্রাকগুলি আটকে আছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
এদিন খোলা বাজারে জ্যোতি আলু ৩২ থেকে ৩৩ টাকা ও চন্দ্রমুখী আলু ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কিলো বিক্রি হয়েছে। আলু কিনতে আসা পাইকারি ক্রেতা মনসুর আলি সর্দার জানিয়েছেন, এইভাবে চললে বাজারে যোগান কমবে। ফলে দাম বেড়ে যাবে।